1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
কোর্ট ম্যারেজ কোনো বিয়ে নয়! - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

কোর্ট ম্যারেজ কোনো বিয়ে নয়!

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল, ২০২১

সালাহ্‌উদ্দীন সাগর ।। কোর্ট ম্যারেজে কি বৈধ বিয়ে হয়? সহজ উত্তর, না। পৃথিবীর কোনো ধর্মেই কোর্ট ম্যারেজে আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। আর ইসলাম ধর্মে নিঃসন্দেহেই নেই। এটি লোকমুখে বহুল প্রচলিত একটি শব্দমাত্র। মুসলিম আইনে বিয়ের কাবিননামাই হলো বিয়ের চুক্তিপত্র। মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচার রীতিনীতি মেনে একটি বৈধ বিয়ে সম্পন্ন হয়। এরপর কাজী সাহেব আইন অনুযায়ী এই বিয়ের নিবন্ধন করলেই আইনগতভাবে আর কোনো ত্রুটি থাকে না। আর কোর্ট ম্যারেজ হলো এভিডেভিট বা বিয়ের ঘোষণামাত্র।

হরহামেশাই আমরা আদালতঙ্গনে কোর্ট ম্যারেজের বিষয়টি শুনতে পাই। আমরা মনে করে থাকি কোর্ট ম্যারেজ করলেই মনে হয় আইনগত বেশি সুরক্ষা পাওয়া যাবে। এটা আমাদের ভুল ধারণা। কোর্ট ম্যারেজের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এটি শুধুমাত্র এভিডেভিট বা হলফনামার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের ঘোষণামাত্র। এই ঘোষণাপত্রটি ২০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্টাম্পে লিখে নোটারি পাবলিক করতে হয়। প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পন্ন করা যেতে পারে। তবে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা ২০০৯ এর ২২ এর (২) ও (৩) ধারামতে কাবিন রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার পর ইচ্ছে থাকলে বিস্তর ঘোষণার জন্য এই হলফনামা করা যেতে পারে।

আদালতের কাছে বিয়ে সংক্রান্ত কোনো সমস্যা উদ্ভুত হলে প্রথমইে কাবিননামা চাওয়া হয়। উত্তরাধিকার দাবি, সন্তানের বৈধ পরিচয়, দেনমোহর ইত্যাদি বিষয়টি নিশ্চিত করণের জন্য কাবিননামা দরকার হয়। কোর্ট ম্যারেজের এখানে কোনো ভিত্তি নেই।

অনেক সময়ই এমন কেসও আদালত পাড়ায় আইনজীবীদের চেম্বারে শুনা যায় যে, বর পক্ষ কিংবা কনে পক্ষ অভিযোগ করেন- আমরা দুইজন কোর্ট ম্যারেজ করেছি। তাহলে কেন কোনো আইনি প্রতিকার পাবো না? সহজেই বুঝার বিষয় হলো কোর্ট ম্যারেজতো কোনো বিয়েই নয়। সুতরাং তালাক কিংবা অন্য কোনো প্রতিকার পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।

মুসলিম বিয়েতে কাবিননামই বিয়ের চুক্তিপত্র। বিয়ে সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় প্রতিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে কাবিননামার বিষয়টি আদালতে নিশ্চিত করতে পারলেই আদালত প্রতিকার দিবেন অন্যথায় নয়। এমন ক্ষেত্রে কাজী সাহেব সাক্ষীদের উপস্থিতিতে কাবিননামার যে ২৫ টি কলাম রয়েছে তা বর এবং কনে পক্ষকে বুঝিয়ে দিয়ে কাবিননামার বিষয়টি সম্পন্ন করবেন।

মুসলিম বিয়ে ও তালাক (রেজিস্ট্রেশন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি মুসলিম বিয়ে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। বিয়ের পক্ষদের নামের তালিকা; বিয়ের তারিখ; দেনমোহর ইত্যাদি বিষয়াদি সরকারি নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন। আইনমতে বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যেই নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। অন্যথায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা অথবা ২ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড কিংবা উভয় শাস্তিই হতে পারে। সামগ্রিক বিবেচনায় আইনি সুরক্ষার ও প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য বিয়ে অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করা উচিত।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ১১:৫৫)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
165
3272544
Total Visitors