খুলনা সংবাদদাতা॥ ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় খুলনায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ২৮৩ আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার ব্রিগেড প্রস্তুত হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার (২২ মে) দুপুর ২টার পর পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় লঘু চাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে বুধবার (২৬ মে) নাগাদ খুলনা উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে মোংলা সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। দুবলার চরের সন্নিকটে অবস্থান করা ট্রলারগুলোকে উপকূলে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ জানান, ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে ইয়াসের বাতাসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার হতে পারে।
খুলনা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদফতর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি ও সম্পদের নিরাপত্তায় কয়রায় ১১৮, দাকোপে ১২৩, ডুমুরিয়ায় ১৯, বটিয়াঘাটায় ১৮ ও পাইকগাছায় পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে এক লাখ ৯০ হাজার ৩৭০ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গো ও শিশুখাদ্য প্রস্তুত রয়েছে। পাঁচ হাজার ৩২০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ফায়ার ব্রিগেড প্রস্তুত রয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো করা হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাত ইউনিয়নে এক হাজার ২৬০ সিপিপি কর্মী প্রস্তুত রয়েছে। দক্ষিণ বেদকাশী, উত্তর বেদকাশী, মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও সদর ইউনিয়নে কাল থেকে মাইকিং করা হবে। এ পাঁচ ইউনিয়ন সব সময় দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য শুকনা খাবার ও শিশুখাদ্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।