গত বছর সামার ভ্যাকেশনে সৌদি আরব থেকে শত শত উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী বাংলাদেশী ছাত্র এসেছিলো দেশে। সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশগুলো অনলাইনে হওয়ায় তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়নি এখনও। কিন্তু সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বছরের আগস্ট মাসে শুরু হতে যাচ্ছে অফলাইন ভিত্তিক সরাসরি ক্লাশ। তাই সকল ছাত্রদেরকে ফিরিয়ে নিতে চাচ্ছে দেশটি।
তবে এসকল ছাত্ররা পড়েছে টিকা গ্রহনের জটিলতায়।সরকার প্রবাসী কর্মীদেরকে ফাইজারের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও ছাত্ররা এর আওতায় আসবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত ছাত্ররা। কারণ কর্মী না হওয়ায় তাদের BMET কার্ড নেই। ফলে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ প্রাপ্ত ছাত্ররা।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র জানিয়েছেন, ছাত্রদের বিষয়ে সরকার যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন তাহলে শত শত ছাত্র আটকা পড়বে এ দেশে, আর ব্যহত হবে তাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হাবীব সাইফী বলেন, আমরা যেহেতু কর্মী নই ছাত্র, তাই বিভিন্ন সময়ে দেশে ও বিদেশে অনেক জটিলতায় পড়তে হয়, সুতরাং ছাত্রদের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার।
মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এক ছাত্র আশরাফুল হাসনাইন বলেন, চায়নায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী ছাত্রদেরকে যেভাবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে তেমনি সৌদি আরবের বাংলাদেশী ছাত্রদেরকেও অগ্রাধিকার দিয়ে ফাইজারের টিকা গ্রহণের সুযোগ দেওয়া উচিৎ।