১৯২১ সালের ১৩ মার্চ ঐতিহাসিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এক্ট পাশ করা হয়তৎকালীন সময়ে ৬০০ একর জমি দান করেছিলেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ এর প্রতিষ্ঠায়।দেশ ও মানবতা বিরোধী সকল আন্দোলনে আপোষহীন ছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়টি তখনকার সময় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল দেশ প্রেমিক আর বিপ্লবীদের একমাত্র ঘাটি। ১৯২১ সালের ১ জুলাই ৩টি অনুষদ ১২টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো স্বপ্নের এই বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ছিল ৮৭৭ জন ছাত্র-ছাত্রী ৩টি হল আর নিয়োজিত ছিলেন ৬০ শিক্ষক অধ্যাপনায়। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ অনেকটা সুপরিচিত হয়েছিল তখনকার সময় থেকে দেশ-বিদেশ।প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি সকল প্রকার আন্দোলন-সংগ্রামে সদা নেতৃত্ব দিয়ে আসছে ন্যায্য দাবি প্রতিষ্ঠায় থেকে প্রথমে। লাখো মেধাবী তৈরিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য কেবল অতি মেধাবীরাই ভর্তির জন্য হয়ে থাকে এখানে গণ্য। ইতিহাস ও ঐতিহ্য মন্ডিত একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হলো এটি মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় অভূতপূর্ব নেতৃত্ব দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্ত করতে সকল স্তরে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেছে সদা অগ্রে নেতৃত্বে। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার নেতৃত্বে ছিল এর ছাত্র-ছাত্রী বিশ্বের বুকে এমন ঘটনা কোন বিদ্যাপীঠের ইতিহাসে নেই এটাই সত্যি। দেশ গঠন-শাসন যারা করেন তাদের অধিকাংশই হলেন এ প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া তা থেকে বিদ্বান হয়ে দেশে-বিদেশে আছেন হাজারো মেধাবী গুণী আর পটুয়া। দেশের অধিকাংশ জ্ঞানী-গুণী-শিক্ষক -গবেষক হলেন একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানের যেখানে যায় সেখানেই প্রশংসা কুড়ায় এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী জ্ঞান ও কর্মের। প্রায় সব ছাত্র-ছাত্রীর উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর স্বপ্ন থাকে হৃদয়ের গহীনে একটাই যে কোন মূল্যে ভর্তি হতে হবে দেশ সেরা এই প্রতিষ্ঠানে শত চেষ্টা আর সাধনায়।বর্তমানে ১৩টি অনুষদ ৮৪টি বিভাগ ১৯ টি হল আর ৪৬১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৮ জন শিক্ষক আর ৪৪৫৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর তত্বাবধানে চলছে ১৪২.০৮৩ একর জায়গা নিয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক ছাত্র হিসেবে আমি আমরা সবাই আজ গর্ববোধ করি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও ঐতিহ্য রক্ষায় যেন আমরা সবে সব সময় প্রাণপণ চেষ্টা ও শপথ লালন করি। বাঙালি জাতির গর্ব ও গর্বের বিশ্ববিদ্যালয় হলো একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণঢালা অভিনন্দন- শুভেচ্ছা ও শুভকামনা এর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ হওয়ায়।