আশিকুর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : একজন সৎ, কর্মঠ, নিরহংকারী, দক্ষ ও মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে ইতোমধ্যে যিনি ঝিনাইদহের মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন জেলার জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। সততা সাহসীকতার আর এক নাম জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।জেলা বাসীদের কাছে বিপদে আপদে যে নামটি সবার আগে উচ্চারিত হয় তিনি হলেন ডিসি মজিবর রহমান। তিনি কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। তারপরও তাঁর সততা কর্মস্পৃহা দায়িত্বশীলতা ও জনমানুষের প্রতি আন্তরিকতা তাঁকে বসিয়েছে এক অনন্য উচ্চতায়।প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়েও যে আমজনতার মাঝে মিশে যাওয়া যায় তাই যেনো তিনি দেখিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত তাঁর কর্মদক্ষতায়, সততায়, আন্তরিকতার ছোঁয়ায় ও সাহসিকতায়।ক্রমশঃ তিনি হয়ে উঠেছেন ঝিনাইদহ জেলাবাসীর আইকন।

করোনাকালীন মহা দুর্যোগে জেলা শহরসহ এ জেলার ৬টি উপজেলাতে ছুটে বেড়িয়েছেন মানুষকে সচেতন করতে। ঐ সময় তিনি অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিয়ে হয়েছেন ব্যাপক সমাদৃত। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব,ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব,জেলা রিপোটার্স ইউনিটিসহ জেলা শহরে কর্মরত সাংবাদিক বৃন্দের জন্য ঈদ উপহার এবং পত্রিকার হকার্সদের মাঝে নগদ টাকা ও খাদ্য সহায়তা,অসহায় গরিব মেধাবি শিক্ষাথর্ীদের লেখাপড়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সহায়তা দিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগে হয়েছিল ব্যাপক প্রশংসিত। তিনি জনগনের সেবকের ভূমিকায় অবতির্ণ হয়ে জেলা প্রশাসন সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সাধারন মানুষের নেতিবাচক ধারনাই পাল্টে দিয়েছেন।

বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনে কর্মহীন,অসহায় ,হতদরিদ্র মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে চাউল ও নগদ টাকা খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ, ঝিনাইদহে বেদেপল্লীর কর্মহীন বাসিন্দাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, বেদে পল্লীতে ঈদ প্যাকেজ, শহরের ভাসমান মানুষগুলোর মাঝে পর্যায়ক্রমে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে চাউল ও নগদ টাকা খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ভূমিহীন-গৃহহীনদের একটি সুন্দর ঘরের স্বপ্ন পূরণে, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে “মুজিব শতবর্ষে পাখিদের নিরাপদ আবাস কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন, লকডাউনের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ইজিবাইক চালকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যসামগ্রী উপহার চাল ও নগদ টাকা বিতরণ, জেলায় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের নেতৃতে মাঠে সেনাবাহিনী, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে জনগনের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, সচেতনতা মূলক পরামর্শ প্রদান সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা ও জনবহুল স্থানে সড়ক প্রচার কার্যক্রম, লকডাউন বাস্তবায়নে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা ব্যাপি করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন, জেলা প্রশাসক মজিবর রহমানের নির্দেশনায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ববধানে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গে মৃত ব্যক্তির দাফন কাফন করা, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে বাগান থেকে ন্যায্যমুল্যে ১০০ মন আম ক্রয় করে সহায়তা প্রদান, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সহস্রাধিক রিকসা চালক ও চায়ের দোকানদারদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নগদ টাকা ও খাদ্যসামগ্রী উপহার বিতরণ, ভ্যান চালক আশাদুল হকসহ অসহায়দের মাঝে আর্থিক সহায়তার ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ৫ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা, করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ঈদ উপহার প্রদান, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ, সমলয় পদ্ধতিতে আবাদ করা বোরো ধান কর্তনসহ অবহেলিত আর নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর পাশে দাড়িয়ে সকলের আস্থা ও বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন। নিরলস পরিশ্রম ও সততার মাধ্যমে নিজের পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়।

সরকারি চাকুরীর নিয়মই হচ্ছে এক জায়গায় বেশিদিন দায়িত্ব পালন করা যাবে না। চলে যেতে হবে অন্য কোন কর্মস্থলে। সেবা দিতে হবে সেই অঞ্চলের জনসাধারনের। এই নিয়মের বাইরে নন জেলা প্রশাসনের কর্মকতার্বৃন্দ। চাকুরীজীবনে তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু যার মধ্যে সততা থাকে তাকে জেলাবাসী সারাজীবন মনে রাখে। এমনই একজন সৎ, নির্ভীক, কর্মঠ ও নিরহংকারী মনের অধিকারী মানুষ হচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলার জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান। এই মানুষটি সম্পর্কে যত ইচ্ছা ততই লেখা যাবে। কেউ যদি মনে করেন ডিসিকে খুশি করার জন্য এই লেখা, তাহলে ভুল। যে মানুষটি ভালো, তাকে ভালো বলতে না পারার মত দুঃখ সবাই পুষে রাখতে পারে না।

জেলার সামাজিক ও মানবিক কাজে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য জেলাবাসীর কাছে ইতোমধ্যে তিনি মানবিক জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদানের পর থেকে ঝিনাইদহ এর প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ রাতদিন সেবা পাচ্ছেন। তার মত জেলা প্রশাসক যদি প্রত্যেক জেলায় দায়িত্ব পালন করত তাহলে দেশের চেহারাটা মুহুর্তের মধ্যেই বদলে যেত। এমন প্রশংসনীয় কারণে তিনি ঝিনাইদহ জেলাবাসীর কাছে সাড়ে চার মাসে সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুৃখে তার প্রসংশা। তিনি বর্তমানে এ জেলার সাধারন মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান বলেন, আমার উপরে অর্পিত রাষ্ট্রের সকল আদেশ আমি সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালন করে যাচ্ছি।হতদরিদ্র, অস্বচ্ছল, অসহায় মানুষের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর করোনাকালীন বরাদ্ধ যথাযথভাবে স্বচ্ছ তালিকার মাধ্যমে বন্ঠন করা হচ্ছে। সরকারি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে যাতে কোন প্রকার অনিয়ম না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। তিনি বলেন আমি এখানে কিছু দিতে এসেছি, নিতে নয়। সকলে চাইলেই একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলা সম্ভব। তিনি সরকারের গৃহিত সকল মহতী কাজে সহযোগিতার আহবান জানান।

জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান তিনি যেন আরও বেশি দিন ঝিনাইদহ জেলার দায়িত্ব পালন করতে পারেন এই কামনা করেন ঝিনাইদহ জেলাবাসী।