1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
১২ বছর পর ছাত্রলীগের কমিটি- পদে অছাত্র ও ইসলামি ছাত্রসেনার নেতারা - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২০ অপরাহ্ন

১২ বছর পর ছাত্রলীগের কমিটি- পদে অছাত্র ও ইসলামি ছাত্রসেনার নেতারা

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই, ২০২১

চট্টগ্রাম ব্যুরো।। অবশেষে দীর্ঘ ১২ বছর পর চন্দনাইশ উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ। কারো ছাত্রত্ব নেই আবার ইসলামী ছাত্রসেনার নেতাকেও বানানো হয়েছে ছাত্রলীগের নেতা। এই নিয়ে ক্ষাভ বিরাজ করছে তৃণমূলে। তবে ছাত্রলীগের স্থবিরতা কেটে উঠবে বলে দাবি জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের। অভিযোগ উঠেছে, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতির ছাত্রত্ব নেই। চন্দনাইশ পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি ইসলামী ছাত্রসেনার নেতা।

দীর্ঘ ৯ বছর আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব পালন ও ৩ বছর এমনিভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর আবার এসেছে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি। গাছবাড়িয়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ মোস্তাফা কামাল ২০১৪ সালে ভর্তি হয়ে আর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করায় তার ছাত্রত্ব নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মতিউর রহমান। অপরদিকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হোসেন চৌধুরী পৌর ইসলামী ছাত্রসেনার ২০১৪ সালের কমিটিতে প্রচার সম্পাদক ছিলেন।

আসিফ মোস্তাফা কামাল বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সময় বৃদ্ধি করে নেবেন। লকডাউনের কারণে করতে পারেননি। আমীর হোসেন বলেছেন, তিনি ‍ইতিপূর্বে ২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

এসব বিষয়ে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দীন বলেছেন, এসব বিষয়ে কেউ তাদের কাছে অভিযোগ করেনি। তাছাড়া এই দুজন তাদের ছাত্রজীবনের আইডি কার্ড দিয়েছে। তারপরও অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

এ ব্য‍াপারে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের বলেছেন, এসব ষড়যন্ত্র। তারপরও যদি কোনো ধরণের অভিযোগ পাওয়া যায় সাংগঠনিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

চন্দনাইশ ছাত্রলীগের ইতিহাস দৃষ্টে জানা যায়, ১৯৭৮ সালে চন্দনাইশ থানা প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার পর জয়নাল আবেদীন জনুকে সভাপতি, বর্তমান মেয়র মাহবুবুল আলম খোকাকে সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮০ সালে মাহবুবুল আলম খোকা সভাপতি, অধ্যাপক মীর কাসেম মীরুকে সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮২ সালে মাহবুবুল আলম খোকা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার পর বলরাম চক্রবর্তী সভাপতি, বর্তমান পৌর আ.লীগের আহবায়ক এম কায়সার উদ্দীন সাধারণ সম্পাদক, ১৯৮৭ সালে প্রয়াত আ.লীগ নেতা আ.স.ম সাইফুদ্দীন খালেদ সভাপতি, বর্তমান উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে আবু আহমদ জুনুকে সভাপতি, উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক হেলাল উদ্দীন চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯৯৩ সালের ১২ জুনু কাঞ্চনাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। একই সময়ে সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি, খোরশেদ বিন ইছহাককে সাধারণ সম্পাদক করে পাল্টা কমিটি মাঠে থেকে যায়। ১৯৯৪ সালে আবু আহমদ জুনু মামলার স্বীকার হয়ে বিদেশে পাড়ি জমালে সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবর আলী ইনুকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। ১ জানুয়ারী ৯৫ সালে আবু আহমদ পুনরায় দেশে ফিরে আসলে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপ একত্রিত হয়ে আবু আহমদ জুনুকে সভাপতি, খোরশেদ বিন ইছহাককে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে পুরানো ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবর আলী ইনু ও সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দীন চৌধুরী মাঠে তাদের কমিটি নিয়ে থেকে যায়।

২০০৩ সালের প্রথম দিকে দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল কাদের সুজন স্বাক্ষরিত সাখাওয়াত হোসেন শিবলীকে সভাপতি, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়। একই সময়ে তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ন.ম টিপু সুলতান চৌধুরী স্বাক্ষরিত দোহাজারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগকে সভাপতি, খুরশিদুল আলম খোকনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেয়। ২০০৪ সালের মাঝামাঝি দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. ফারুক স্বাক্ষরিত হেলাল উদ্দীন চৌধুরীকে আহবায়ক, জমির উদ্দীন, মাহফুজুর রহমানকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। একই সময়ে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক বিজয় বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে আহবায়ক, বেলাল হোসেন মিঠু ও মুরিদুল আলম মুরাদকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে ৪ ডিসেম্বর এসএম মুসা তসলিমকে আহবায়ক, ৮ জনকে যুগ্ম আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ৩ মাসের আহবায়ক কমিটি গঠন করে জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন আহবায়ক মো. ফারুক, যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে নাঈমুল হক পারভেজ, কলিম উদ্দীন, কুতুব উদ্দীন স্বাক্ষর করেন। দীর্ঘ ৯ বছরে আহবায়ক কমিটি সম্মেলন করতে পারেনি। অবশেষে ২০১৪ সালে সংগঠনের আহবায়ক মুসা তসলিম বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দেয়। বর্তমান জেলা কমিটি দায়িত্ব নেয়ার পর ২০১৮ সালে ২৩ এপ্রিল দক্ষিণ জেলার সকল ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সে থেকে ছাত্রলীগের আর কোন ধরণের কমিটি চন্দনাইশে দেয়া হয়নি। মুসা তসলিম ২০১৬ সালে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদ পেয়ে রাজনীতিতে স্বক্রিয় থাকলেও অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১২ বছর পর গত ২৫ জুন মো. মাঈনুর রহমান আসিবকে আহবায়ক করে ১০২ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটি, আসিফ মোস্তফা কামালকে সভাপতি, মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ, আমির হোসেন চৌধুরীকে সভাপতি, রাইসুল আসাদ জয়কে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট চন্দনাইশ পৌরসভা ও সাজ্জাদ হোসেনকে সভাপতি, আসিফুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে দোহাজারী পৌরসভা ছাত্রলীগের কমিটি অনুমোদন দিয়ে ২৬ জুন প্রচার করার পর চন্দনাইশে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পদবঞ্চিতরা। ফলে চন্দনাইশে ছাত্র রাজনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিগত সময়ে ছাত্রলীগের কমিটিতে প্রায় সময় পাল্টাপাল্টি কমিটি ছিল। এদিকে আগামী ২৫ জুলাই পর্যন্ত বর্তমান কমিটি ও পদবঞ্চিতদের নিরব থাকার জন্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ নির্দেশ দেয়ায় আন্দোলন কিছুটা স্থবিরতা দেখা গেলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে লেখালেখি। তবে আগামী ২৫ জুলাইয়ের পর আবার চন্দনাইশে ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে কি হচ্ছে সেদিকে তাকিয়ে আছে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সন্ধ্যা ৭:২০)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
173
3271828
Total Visitors