1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন: বিএনপির ‘ধীরে চলো নীতি’ - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন: বিএনপির ‘ধীরে চলো নীতি’

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

জুবায়ের আহমেদ।। সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণের আগে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ গ্রহণ করেছে বিএনপি। কে এম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ফলে, ভেতরে-ভেতরে অনানুষ্ঠানিকভাবে অন্যান্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে নতুন ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও প্রক্রিয়াটি এখনই দৃশ্যমান করছে না বিএনপি। আর এ কারণে এখনও স্থায়ী কমিটির আলোচ্যসূচিতে জায়গা পায়নি ইস্যুটি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে। নতুন কমিশন গঠনে ইতোমধ্যে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে আগের মতো ‘সার্চ কমিটি’ গঠনের ইঙ্গিত এসেছে। আর এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ্য কোনও বক্তব্যও আসেনি। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্যুটি নিয়ে অভ্যন্তরীণ কাজ গোছাচ্ছেন বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

বিরোধী অন্তত চারটি দলের প্রধানরা জানিয়েছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে চিন্তাবিনিময় শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘নতুন নির্বাচন কমিশন’ গঠনের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে বৃহৎ রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার পক্ষে দলটির শীর্ষনেতৃত্ব। আর এ লক্ষ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে অপরাপর বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যে পৌঁছাতে চায় বিএনপি।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে বিএনপির আনুষ্ঠানিক কোনও আলোচনা হয়নি। তবে নির্বাচন কমিশন গঠন হচ্ছে দ্বাদশ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রথম শর্ত। আমরা চাই, স্থায়ী নির্বাচনি ব্যবস্থা। এখনও ইসি গঠনে কোনও আইন হয়নি। অ্যাডহকভিত্তিতে যেভাবে কমিশন গঠন করা হয়েছে, এতে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

সাইফুল হক আরও বলেন, ‘গতবার রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। কিন্তু কী কমিশন গঠিত হয়েছে—সেটা তো পরিষ্কার। এবারও সরকার চাইবে সেভাবে করতে। কিন্তু আমরা এটা চাই না। আমরা দলের অভ্যন্তরে ও জোটগতভাবে বিষয়গুলো আলোচনা করবো। আর বিএনপি প্রস্তাব দিলে সেটিও আলোচনায় উঠবে।’

বর্তমান সরকারবিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের প্রধান জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন কয়েকজন নেতা। বিষয়টি সরাসরি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে হওয়ায় অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন এজেন্সি ও নেতাদের সমন্বয়ে নানা প্রক্রিয়া চলমান থাকায় বিএনপিও হিসাব করে উদ্যোগ নিচ্ছে।’

জানতে চাইলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নিয়োগকৃত কমিশন কোনোভাবেই নিরপেক্ষ হবে না। আমরা চাই, স্বাধীন সাংবিধানিক কমিশন গঠন। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। যে কমিশন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের আজ্ঞাবহ হবে না। সরকারি দল, বিরোধী দল, সবার প্রতি সমান দায়বদ্ধতা থাকবে তাদের। ইসি স্বাধীন, মানে সংবিধান ও আইনের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে। এই সরকারের অধীনে আবার ইসি গঠন হলে আবারও হুদা কমিশনের মতো একটি কমিশন হবে। এতে কোনও আস্থার সৃষ্টি করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা ছাড়াতে হবে। আগামী আরও ৩টি নির্বাচন এভাবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।’

শনিবার (২৮ আগস্ট) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন প্রভাবশালী নেতা বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে আগামী নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এখন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তই আছে দলের। সে ক্ষেত্রে ইসি গঠন প্রক্রিয়ায় বিরোধী দলের এই মানসিকতাও যাচাই করবে বিএনপি। যে দলগুলোতে বর্তমান সরকারপ্রধানের অধীনে নির্বাচনের আন্তরিকতা উঠে আসবে—তাদের এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত না করার পক্ষে হাইকমান্ড।’

গত ২৩ আগস্ট একটি অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ও এ বিষয়টিকে সামনে এনেছেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘সরকার নানাভাবে ফাঁদে ফেলে ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনে বিএনপিকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে। এখন বিএনপিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে তারা নির্বাচনে যাবে কি না।’

বিএনপির প্রভাবশালী একজন দায়িত্বশীল দাবি করেন, গতবারের মতো সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন করা হলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সমন্বিত নামের তালিকা দিতে বিএনপির উৎসাহ থাকবে। আর পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়াটিকেই বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের প্রাথমিক ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।

দলের স্থায়ী কমিটির একটি ঘনিষ্ঠসূত্রের ভাষ্য, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ন্যূনতম সমঝোতা হলে নির্বাচন কমিশন গঠনে সর্বদলীয় সংলাপের আয়োজন করতে পারে বিএনপি। আর এই সংলাপের মধ্য দিয়ে ইসি গঠনে ঐক্যপ্রক্রিয়া কার্যকর করার পরিকল্পনা করছেন দলটির শীর্ষনেতৃত্ব।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন নিয়ে বিএনপিতে এখনও অফিসিয়ালি কোনও আলোচনা শুরু হয়নি। এখনও অনেক সময় বাকি। সময় হলেই দল কাজ শুরু করবে।’

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সকাল ৬:১৬)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
127
3269643
Total Visitors