যশোরে এসে পৌঁছেছে কক্সবাজারে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে যেয়ে নিহত মেহের ফারাবী অভ্রর মরদেহ। রাফিদ ঐশিকের মরদেহ আর কিছুক্ষণের মধ্যে পৌঁছুবে। তাদের নামাজে জানাজা আজ আসরবাদ পৃথকভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
ঐশিকের জানাজা উপশহরে তাদের বাড়ির সামনে এবং অভ্রর জানাজা যশোর ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে পরিবার দু’টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অভ্রর মরদেহ দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে যশোর শহরের লালদিঘির পূর্বপাড়ের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এসয় সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা বুকফাটা আর্তনাদে ফেটে পড়েন। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ আরও ভারি হয়ে ওঠে।
অভ্রর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছুছে, ঐশিকেরটা পথেচাচা আশিক মাহমুদ সবুজ জানান, আসরের নামাজের পর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে অভ্রর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ঐশিকের পিতা কবি, গীতিকার, সুরকার কাসেদুজ্জামান সেলিম জানান, ছেলের মরদেহ ফেরি পার হচ্ছে। হয়তো দেড়ঘণ্টার মধ্যে মরদেহ তাদের বাড়ি যশোরের উপশহরে এসে যাবে। ঐশিকের নামাজে জানাজাও অনুষ্ঠিত হবে আসরের নামাজের পর উপশহর এ ব্লক গাবতলা শিশুপার্ক মাঠে। পরে ঘোপ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, বরেণ্য কবি, গীতিকার কাসেদুজ্জামান সেলিমের ছেলে রাফিদ ঐশিক ও ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক কলেজের শিক্ষক শাহরিয়ার মেহের ইবনে মিজানের ছেলে মেহের ফারাবী অভ্রসহ (২৫) সাত বন্ধু ১৫ সেপ্টেম্বর যান কক্সবাজার। ঐশিক যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং অভ্র ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ১৬ সেপ্টেম্বর সমুদ্রস্নানে নামেন তারা। কিন্তু সাগর অনেকটা উত্তাল থাকায় আনন্দ উচ্ছ্বাসের মধ্যে বন্ধুরা একে অপরকে হারিয়ে ফেলেন। ৫ বন্ধু সৈকতে ফিরতে পারলেও নিখোঁজ হন ঐশিক ও অভ্র। ১৮ সেপ্টেম্বর সাগর বক্ষ থেকে মেলে তাদের নিথঅভ্রর মরদেহ বাড়িতে পৌঁছুছে, ঐশিকেরটা পথের দেহ।
এদিকে, ঐশিকের পিতা কাসেদুজ্জামান সেলিম ছেলের মৃত্যুকে হত্যাকান্ড দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে তাদের পক্ষ থেকে কক্সবাজার থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে জানিয়ে সেলিম বলেন, পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভ্রর চাচা আশিক মাহমুদ জানান, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। অভ্রর পিতা মানসিকভাবে খুবই বিপর্যস্ত। তিনি কোনো কথা বলতে পারছেন না। তার মামা-চাচারা প্রাথমিকভাবে বসে আগে মরদেহ দাফনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। পরে ঠিক করা হবে মৃত্যুর বিষয়ে কোনো মামলা করা হবে কি না