1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
একটু বৃষ্টিতেই ঝিনাইদহের পোড়াহটির একটি রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা- জনদূর্ভোগ চরমে - চ্যানেল দুর্জয়
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

একটু বৃষ্টিতেই ঝিনাইদহের পোড়াহটির একটি রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা- জনদূর্ভোগ চরমে

  • প্রকাশিত : বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ ঝিনাইদহে একটি রাস্তার পাকাকরণের অভাবে বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে গ্রামের বসবাসকারীরা। দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন জনপ্রতিনিধি রাস্তাটি পাকারণের ব্যবস্থা করেনি। রাস্তাটির অবস্থান সদর উপজেলার পোড়াহটি উইনিয়নের মান্দারতলা গ্রামের ঈদগাহ মোড় থেকে পশ্চিমপাড়া জামাল মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত । বর্ষা মৌসুমে হাঁটুসমান কর্দমাক্ত হয়ে নারী-পুরুষ, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেন। বিকল্প কোন পথ না থাকায় রাস্তাটি তাদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে।
সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া দেশের প্রত্যন্ত গ্রামেও লেগেছে। স্থানীয় সরকারের অধীনে এডিপি, এলজিএসপি, টিআর-কাবিখাসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প থেকে এ সব কাজগুলো করার কথা। কিন্তু কেউ এ রাস্তাটির কথা মনেই রাখেনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটি কাঁদায় প্লাবিত হয়ে পড়ে আছে। গ্রামে কৃষক থেকে সরকারী চাকুরীজীবি বাস করে। আর শিক্ষার্থীদের দুরদশা আরো অবর্নণীয়। রাস্তা ঘাটে কাদার কারণে স্কুলেও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে যায়। গ্রামে কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান হয় না। কেউ অসুস্থ হলে কাঁধে করে হাসপাতালে নিতে হয়।
পাশর্^বর্তী করিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সদান্দ কুমার বিশ্বাস বলেন, আমার বাড়ী মান্দারতলা গ্রামে। পাশের গ্রাম করিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। কিন্তু আষাঢ় মাস আসলে শুরু হয় যন্ত্রনা আর চলে কার্তিক মাস পর্যন্ত। রাস্তার কাঁদা দিয়ে হাটা যায় না। আর এসময় হাতে পলিথিনে থাকে শার্ট-প্যান্ট ও সেন্ডেল। পরনে থাকে লুঙ্গি গেনজি। বিভিন্ন বাড়ীর মধ্যে দিয়ে হেটে গিয়ে পাকা রাস্তায় উঠে হাত-পা ধুয়ে শার্ট-প্যান্ট পরে ও সেন্ডেল পায়ে দিয়ে স্কুলে প্রবেশ করি।
গ্রামের বয়োবৃদ্ধ রেজাউল করিম জানান, বৃষ্টির সময় কাদাপানির কারণে কোন বাড়িতে বিয়েও হয়না। বলা যায় কাঁদাপানিতে অবরুদ্ধ দশা হয় গ্রামবাসির।
আরিফুল ইসলাম নামের অপর গ্রামবাসি জানান, বর্তমান অবস্থা এতোটাই খারাপ পথচারী তো দূরের কথ গরু ছাগলও হেটে যাতায়াত করতে পারছে না। ডিজিটাল ও সভ্যতার এই যুগে এমন রাস্তার কথা কেও কল্পনাও করতে পারে না।
স্থানীয় ওয়ার্ড (১নং ওয়ার্ডের) মেম্বার মনিরুল ইসলাম জানান, আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কয়েক বৎসর ইউনিয়ন মিটিং এ তালিকা ভুক্ত করেছি। তাতেও কোন কাজ হয়নি। তাছাড়া সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করে রাস্তাটি করতে পারেনি।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, রাস্তাটির বিষয়ে আমি খোজ খোবর নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যরস্থা করবো।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • মঙ্গলবার (দুপুর ১:৩৮)
  • ১৬ই এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ৭ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ৩রা বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
96
3245058
Total Visitors