ডিজেলের দাম বাড়ার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার চালের বাজারে। সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা।
সরকারিভাবে চাল আমদানি বন্ধ এবং আমন মৌসুমে চিকন ধানের চাষ না হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে কুষ্টিয়ার বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়তে শুরু করে।
ধান সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ট্রাক ভাড়া বেশি গুণতে হচ্ছে মিলারদের। তাই ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পরতে শুরু করে চালের বাজারে।
মাসের শুরুতেই বাজারে সব ধরনের চাল কিনতে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে দুই থেকে তিন টাকা বেশি। সহসা দাম কমবে বলেও মনে করছে না ক্রেতারা।
দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে মিনিকেট চাল ৬০, কাজললতা ৫২ থেকে ৫৪, আঠাশ’ ৪৮ থেকে ৫০, বাসমতি ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম কম থাকে। সেখানে চালের দাম বাড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
সরকারিভাবে চাল আমদানি বন্ধ থাকায় এবং আমন মৌসুমে চিকন ধানের চাষ না হওয়ায় চালের দাম কিছুটা বেশি বলে দাবি করেছেন চাল ব্যবসায়ীরা।
তাছাড়া ধান-চাল সব কিছুর সঙ্গে ডিজেলের একটি যোগসূত্র রয়েছে, এমনটা জানিয়ে তারা বলেন, দাম বাড়ার পেছনে এটিও একটি বড় কারণ।
ব্যবসায়ীরা জানান, খাজানগর মোকাম থেকে ঢাকা যেতে আগে একটি ১৫ টন চাল বোঝাই ট্রাকের ভাড়া লাগতো ১৫ হাজার টাকা। সেখানে এখন গুনতে হচ্ছে প্রায় ১৮ হাজার টাকা।
পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ধান সংগ্রহ করে মোকামে নিয়ে আসার ক্ষেত্রেও ট্রাক ভাড়া বেশি গুনতে হচ্ছে। তাই ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব চালের বাজারেও পড়েছে।
চালের পাশাপাশি বেড়েছে ধানের দামও। মিনিকেট ধান ১৪৮০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগেও মণ প্রতি ১৪২০থেকে ১৪৩০ টাকা দরে দরে বিক্রি হচ্ছিলো।