বিএম মিলন, স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের কুয়াদায় ব্রাক্ষণডাঙ্গা গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পিতা-পুত্রকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় মনিরামপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলার ভোজগাতী ইউনিয়নের কুয়াদা বাজার সংলগ্ন জামজামি গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬১) বাদি হয়ে গত ৩ ডিসেম্বর -২১ মনিরামপুর থানায় ৩ জনকে অাসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামিরা হলো- ব্রাক্ষণডাঙ্গা গ্রামের আজগার আলীর ছেলে রায়হান (২৬), মৃত বেলায়েত আলীর মেয়ে শিরিনা খাতুন (৪৫), ও রায়হানের স্ত্রী ইয়াসমিন খাতুন (১৯)। বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেছেন যে,আসামিদের সাথে আমাদের পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিলো। এ কারণে আসামিগন প্রায় সময় আমাকে খুন-জখমের হুমকি দিত। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩ ডিসেম্বর আনুমানিক সকাল ৮ টার সময় আমার গোয়াল ঘর হতে গরু নিয়ে বাড়ির বাইরে বাধতে ছিলাম। ওই সময় আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার বসত বাড়ির সামনে আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে অনধিকারভাবে প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তখন আমি আসামিদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১ নং আসামি রায়হান তার হাতে থাকে ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার পিঠের বাম পাশে স্ব-জোরে আঘাত করে, যাতে ওই ছুরি আমার পিঠে ঢুকে গভীর কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। সে সময় আমি ডাকচিৎকার দিলে আমার ছেলে রাসেল হোসেন (২৫), ছুটে এসে আসামিদের হাত থেকে আমাকে রক্ষা করতে গেলে আসামি রায়হান তার হাতে থাকা সেই ধারালো ছুরি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথা লক্ষ্য করে কোপ মারিলে, ওই কোপ ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে তার ডান হাতের কুনুইয়ের উপর গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। যাতে তার ওই ডান হাতে ৯ টি সেলাই দিতে হয়। ওই সময় আসামি রায়য়হান পুনরায় আমার ছেলের মাথা লক্ষ্য করে পর পর দুটি কোপ দেয়, যার একটি কোপ আমার ছেলের বাম কাধের নিচে বাম হাতের বাহুতে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। যাতে ৩ টি সেলাই দিতে হয়। এবং অপর একটি কোপ আমার ছেলের মাথার ডান পাশে লেগে গভীর হাড়কাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। ওই সময় আমি ও অামার ছেলে ডাকচিৎকার করিলে আমার ছেলের বউ উর্মি খাতুন (১৯), ও আমার স্ত্রী রমিছা খাতুন (৫০), ঠেকাইতে আসিলে ১নং আসামি রায়হান আমার ছেলের বউ এর পেটে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় আমরা ডাকচিৎকার দিলে আশ-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তখন আসামিরা আমাদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থাল ত্যাগ করে। তখন স্থানীয়দের সহতায় আমি ও আমার ছেলে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এছাড়া ও আসামিগণের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বাদিপক্ষসহ তার পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।