1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ইউপি নির্বাচন- যশোরে আওয়ামীলীগে ক্যু! - চ্যানেল দুর্জয়
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন
সদ্যপ্রাপ্ত :
চৌগাছার মর্জাদ বাওড়ে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় গায়ক পাগল হাসান মারা গেছেন বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে রাজনীতি করে না: ওবায়দুল কাদের লক্ষ্মীপুরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১২ তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় নির্বাচন ২৯ মে চুল কাটা নিয়ে বাবার কাছে বকা খেয়ে ছেলের আত্মহত্যা ডাক্তারের অভাবে হুমকির মুখে চৌগাছা হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা! রাজধানীতে অতিরিক্ত মদপানে শিক্ষার্থীর ‍মৃত্যু

ইউপি নির্বাচন- যশোরে আওয়ামীলীগে ক্যু!

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: আগামী ৫ জানুয়ারির ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যশোর সদর ও কেশবপুর উপজেলার ২৬ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বন্ধ হলো না আওয়ামী লীগের বিদ্রোহ। ইউনিয়নে ইউনিয়নে বিদ্রোহ রয়েছে আওয়ামী লীগে। প্রত্যাহারের শেষ দিনেও অনেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী-সমর্থক দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে প্রার্থী রয়ে গেছেন।
ফলে, শেষ পর্যন্ত অন্যান্য দলের প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের নেতাকর্মী-সমর্থকদের সাথে লড়াই করতেই হচ্ছে নৌকার প্রার্থীকে। স্বতন্ত্রের নামে আওয়ামী লীগের এসব প্রার্থী নৌকার জন্য ক্ষতির কারণ হবে কিনা তা নিয়ে কমবেশি আশঙ্কা রয়েছে। তারপরও নৌকার প্রার্থীদের আশার বাণী হচ্ছে, ‘ভোটাররা নৌকাকেই বেছে নিবে।’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি দলের ৩৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে ১৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের রয়েছে মাত্র সাতজন। যারা প্রত্যাহার করেছেন তারা হচ্ছেন, হৈবতপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু বক্কার গাজী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোমিনুর রহমান। ইছালীতে আওয়ামী লীগ সমর্থক শাহানারা খাতুন। নওয়াপাড়ায় জেলা যুবলীগের সদস্য কেরামত আলী মোল্লা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান। কাশিমপুরে আওয়ামী লীগ কর্মী মেহেদী খালিদ হোসাইন, সজীব হাসান ও সোলায়মান এবং রামনগরে আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ জামাল উদ্দীন টুটুল।
এদিকে, হৈবতপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে আবু সিদ্দিককে। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মী হরেণ কুমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট নেতা আহম্মদ আলী এখনো প্রার্থী রয়েছেন। আবু সিদ্দিককে এই দু’জনের সাথে লড়াই করতে হবে। লেবুতলায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আলীমুজ্জামান মিলন। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগেরই শহিদুল ইসলাম। কিন্তু শহিদুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
ইছালীতে আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন ফেরদৌসী ইয়াসমিন। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়ুব হোসেন ও আজিজুর রহমান। তারাই এখন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রতিপক্ষ!
নওয়াপাড়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন রাজিয়া সুলতানা। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর তুহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য কাজী আলমগীর হোসেন ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মোশারফ হোসেন। এরাই এখন নৌকার প্রার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ। উপশহরে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন এহসানুর রহমান লিটু। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন রত্ন। রত্ন যদি প্রার্থী না হতেন তাহলে মি. লিটু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতেন। সেই পথ রুদ্ধ হলো রত্নের কারণে।
কাশিমপুরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএম সাইফুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন দাউদ হোসেন। তার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান মুন্না, প্রজন্ম লীগ নেতা আলমগীর কবির, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও শ্রমিক লীগ নেতা মোহাম্মদ বাদশা। তাদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
দেয়াড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী লিয়াকত আলী। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান। এই দু’জনের মধ্যে হবে মূল লড়াই।
আরবপুরে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মীর আরশাদ আলী রহমান। এখানে একই দলের পক্ষে নুরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান ও খন্দকার ফারুক আহমেদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। এরাই কাল হতে পারেন নৌকার প্রার্থীর জন্য।
চাঁচড়ায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা পান্নু। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আব্দুল আজিজের ছেলে শামীম রেজা ও তাঁতি লীগের সাবেক নেতা ফারুখ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
রামনগরে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজনীন নাহার। এখানে আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন, জেলা তরুণ লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান লাইফ ও আওয়ামী লীগ কর্মী জুলেখা বেগম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
ফতেপুরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন শেখ সোহরাব হোসেন। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ কর্মী ফাতেমা আনোয়ার, আলমগীর হোসেন ও শিল্পী খাতুন রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
কচুয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন লুৎফর রহমান ধাবক। এখানে আওয়ামী লীগ কর্মী শেখ মাহমুদ হোসেন ও আব্দুর রশীদ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাদের সাথেই লড়তে হবে নৌকার এই প্রার্থীকে।
নরেন্দ্রপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোদাচ্ছের আলী। এই ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সদর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হোসেন ফেরদৌস আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন।
এবং বসুন্দিয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল। এই ইউনিয়নে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আজিজুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। অন্যান্য দলের প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও নৌকার প্রার্থীদের ছাড় দিলেন না আওয়ামী লীগেরই নেতাকর্মী-সমর্থকরা।
কেশবপুরে মোট ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, মহিলা মেম্বার পদে দু’জন ও মেম্বার পদে আটজন রয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মজিদপুর ইউনিয়নে আব্দুল হালিম, বিদ্যানন্দকাটিতে ফারুক হোসেন ও আলমগীর হোসেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে মাসুদুজ্জামান, কেশবপুর ইউনিয়নে মফিজুর রহমান, সিরাজুল ইসলাম ও আবু নাইম, পাঁজিয়া ইউনিয়নে রিয়াজুল ইসলাম লিটন, সুফলাকাটি ইউনিয়নে মাহাবুবুর রহমান, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে সামছুদ্দীন দফাদার ও হাসানপুর ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান।
মহিলা মেম্বার পদে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন কেশবপুর সদর ইউনিয়নে মিসেস আছিয়া আক্তার ও পাঁজিয়া ইউনিয়নের কাকলী মন্ডল।
এছাড়া, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফিজুর রহমান, মজিদপুর ইউনিয়নে আজিজুর রহমান ও সোহরাব হোসেন, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল হালিম, কেশবপুর সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক, পাঁজিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে সাধন মন্ডল ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মোহন মন্ডল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (সকাল ৬:২৭)
  • ১৯শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১০ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ৬ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
127
3253658
Total Visitors