স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরে সিজার অপারেশন করার সময় নাজমা খাতুন (৩০) নামের এক প্রসূতীর খাদ্যনালী কেটে ফেলা হয়েছে। গত ৭ জানুয়ারি একটি বেসরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। বুধবার এনিয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী নাজমা খাতুন মণিরামপুর উপজেলার ফরিদ আহমেদের স্ত্রী। তিনি শহরের বরফকলের পাশে একটি ভাড়া বাসায় তার মা আনোয়ারা বেগমের সাথে থাকতেন।
নাজমার ভাই রনি জানান, তার বোনের প্রসব যন্ত্রণা উঠলে গত ৭ জানুয়ারি যশোর সদর হাসপাতালের সামনে স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হরা হয়। ভর্তির পরের দিন সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মোছা মাহাফুজা মনির ও তার সহোযোগিরা নাজমা অবস্থা খারাপ বলে দ্রুত সিজার করাতে চান। এসময় তাদের পরিবারের লোকজন নাজমার অবস্থা খারাপ শুনে সিজার করতে সম্মতি দেন। সিজারের পর নবজাতক বাচ্চা সুস্থ হলেও নাজমা আর সুস্থ হন না। পরে তাকে রিলিজ দিয়ে দিলে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রনি আরো বলেন, ‘বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর অবস্থার অবনতি হলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করাই। চিকিৎসক মাহাফুজা মনির বলেন, ৭-৮ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও দিন দিন আমার বোন নাজমার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে চলে যায়। এ সময় আমাদের চাপে চিকিৎসক মাহাফুজা মনির স্বীকার করেন সিজার করার সময় তার খাদ্যনালী কেটে গেছে। এসময় তিনি আমার বোনের সকল চিকিৎসার খরচ বহন করার কথা বলেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘মাহফুজা অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে আমাদেরকে খুলনায় পাঠান। পরে আমরা আর চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। অন্যভাবে যোগাযোগ করতে চাইলে অনেক ভযভীতি দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘অতপর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আমার বোনকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন আমার বোনের খাদ্যনালীর কেটে গেছে এবং পচন ধরেছে। এমত অবস্থায় জরুরি অপারেশনের জন্য লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন।’
মামলায় স্ক্যান হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক মাহাফুজা মনিরসহ আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ বিষয়ে স্ক্যান হাসপাতালের কতৃপক্ষ বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।