ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম মতিউর রহমানের উপর হামলা ও সরকারী গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার প্রতিবাদ ও আসামীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পাড়েরহাট ইউনিয়ন আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠন। রবিবার(৬ মার্চ) বিকালে ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাট বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মিরা। এসময় উপজেলা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন আ.লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষকলীগ ও সেচ্চাসেবকলীগের নেতাকর্মিরা এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারী এবং হামলার মদদ দাতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান। এ হামলার ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং এটি বিশেষ কোন রাজনৈতিক মহলের ইন্ধনে হয়েছে বলেও দাবি তাদের। এসময় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দেন নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিন হাওলাদারের সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিরুজ্জামান সেলিম হাওলাদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান খসরু খালিফা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাওলাদার মোয়াজ্জেম হোসেন, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক বজলুর রহমান মিন্টু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আঃ রাজ্জাক, পাড়েরহাটে ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাওন তালুকদার, পারেরহাট ইউনয়ন আ.লীগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক লাভলু, উপজেলা ছাত্রলীগ এর সাধারন সম্পাদক ইসরাফিল খান নেওয়াজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ৮ টার দিকে সরকারি গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পিরোজপুর হাসপাতালের উদ্দ্যেশে যাবার পথে ইন্দুরকানী উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন সড়কের মা কম্পিউটারের সামনে স্থানীয় সজিব হাওলাদার সহ অপরিচিত কয়েকজন যুবক তার গাড়ির গতিরোধ করে টেনে বাইরে নামানোর চেষ্টা করেন এবং কয়েকটি কিল ঘুষি মারেন। এসময় হামলাকারীরা তার গাড়ির একটি গ্লাস ভেঙ্গে ফেলেন।
এ ঘটনায় গত ১লা মার্চ উপজেলা চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান ইন্দুরকানী থানায় ২জনকে জ্ঞাত এবং ৭-৮ জন কে অজ্ঞাত করে হত্যা চেষ্টা ও চাঁদাদাবির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে উপজেলা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ হামলার ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।