ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি : সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কলিজার টুকরা শেখ রাসেলের নামের সাথে তথাকথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম যৌথ নাম দিয়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শেখ রাসেলের ছবির সাথে তার নিজের একটি ছবি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের নামের একটি বিশাল ডিজিটাল ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছেন। নিয়ম রয়েছে সরকার প্রধান শেখ পরিবারের কোন সদস্যের নাম বা নামের সাথে কোন ব্যক্তির নাম ব্যবহার করতে হলে ট্রাষ্টি বোর্ডর অনুমোদন নিতে হয়। তবে, সংশ্লিষ্ট ট্রাস্টি বোর্ডের কোন অনুমোদন না নিয়েই শেখ রাসেলের সাথে নিজের নাম ও ছবি জুড়ে দিয়েছেন তথাকথিত দানবীর তরিকুল ইসলাম। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাকান্ডের বঙ্গবন্ধুর সপরিবার নিহতের সময় যে অবুঝ শিশুটির বেঁচে থাকার আকুতি ও আর্তনাতে এখনো আকাশ-বাতাস ভারী। শেখ পরিবারসহ বাংলার মানুষের হৃদয়ের ক্ষত চিহ্নটি কিছুটা উপসমে তার সম্মানে রাষ্ট্র শেখ রাসেল জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে। অথচ জাতির পিতা ও বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারের সাথে যৌথভাবে তথাকথিত সমশের পরিবারকে একত্রিত করে সারাদেশে সমশের পরিবারকে পরিচিতি লাভ ও বিদ্যালয়টি এমপিও’র বৈতরণী হতেই শেখ রাসেলের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

শেখ রাসেল ও দানবীর তরিকুল ইসলাম প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তরকুল ইসলাম জানান, আমি এলাকার প্রতিবন্ধিদের উন্নয়নে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবন্ধিদের জন্য নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে স্কুলটি চলছে। তবে শেখ রাসেলের নাম ব্যবহারের প্রশ্নে বলেন, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোতি নেওয়ার বিষয়টি এখনও প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া জেরিন জানান, ট্রাস্টি বোর্ডের অনুমোতি ছাড়া শেখ পরিবারের নাম ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। নাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই অনুমোতি নিতে হবে।