1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
‘রাত পোহালে ঈদ’ ঈদগাহে ১৪৪ ধারা জারি - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১০ পূর্বাহ্ন

‘রাত পোহালে ঈদ’ ঈদগাহে ১৪৪ ধারা জারি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২ মে, ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাত পোহালে ঈদ। দীর্ঘ দুইবছর পর করোনার থাবা কাটিয়ে মুসল্লিদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে ঈদগাহ মাঠ। কিন্তু সেই দৃশ্য চোখে পড়বেনা টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে। প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদগাহ মাঠটিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। টানা ১১ বছর ধরে এ অবস্থা চলে আসছে। মাঠের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় একব্যক্তি নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এ নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ঈদের নামাজ আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ৭ গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা যায়, বীর বাসিন্দা-ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্ত, নারাঙ্গাইল, বাগোলের পাড়া, চদুলী পাড়া ও ডালুয়াবাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীর বাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ২০১২ সালে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিরোধ নিরসনের জন্য ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দুই উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বীর বাসিন্দা গ্রামের আ. গফুর নামে এক ব্যক্তি আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এরপর থেকে সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ঈদুল আজহার দিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসন ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। তখন থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গত ১০ বছর ধরে প্রতি বছরই দুই ঈদে ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।

এবার ঈদেও একই নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেয় উপজেলা প্রশাসন। চিঠির প্রেক্ষিতে রোববার (১ মে) অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবুল হাশেম স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে ঈদুল ফিতরের দিন বীর বাসিন্দা-ভোজদত্ত দাখিল মাদরাসার ঈদগাহ মাঠে ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করেন।

সোমবার (২ মে) ওই ঈদগাহ মাঠ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এলাকাতে সুনসান নীরবতা। নেই মানুষের আনাগোনা। অন্যান্য এলাকার মতো এ ঈদগাহ মাঠে চলছেনা পরিস্কার পরিছন্নতা কিংবা ধোঁয়া মোছার কাজ। দীর্ঘদিন নামাজ আদায় না হওয়ায় আগাছায় ছেয়ে গেছে মিনারের জায়গা। উঠে গেছে মিমারের প্লাস্টারও। সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা গেছে ক্ষোভ আর কষ্ট।

এলাকাবাসী জানান, হাজারো মুসল্লি একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতেন এই ঈদগায়। বর্তমানে ঈদের দিন তারা বিভিন্ন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন। এতে কষ্ট হয় অনেকের। তারা ভবিষ্যতে আর ১৪৪ ধারা জারি না করে সকলে মিলেমিশে যাতে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান।

এ বিষয়ে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শাহআলম জানান, ঈদ এলেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয় ঈদগাহ মাঠটিতে। আমরা সবাই মিলেমিশে এই ঈদগাহ মাঠে নামাজ আদায় চাই।

দেউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন আকন্দ হেপলু বলেন, ঈদগাহ মাঠের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা এলাকাবাসীর অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে আগের মতো ঈদের নামাজ আদায় করতে।

জেলা প্রশাসক ড.মো.আতাউল গনি বলেন, এসপি সাহেবের সুপারিশের প্রেক্ষিতে ঈদগাহ মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয় সেজন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (সকাল ১১:১০)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
187
3270457
Total Visitors