ঢাকা অফিস: পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ব্যক্তি পুলিশের অপরাধের দায় পুরো বাহিনী কখনওই নিবে না। পুলিশ বাহিনী কোন খারাপ কাজ করে খবরের শিরোনাম হতে চায় না বরং সাফল্য গাঁথার মাধ্যমে সংবাদের শিরোনাম হতে চায়।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সকালে রাজশাহী সারদা পুলিশ একাডেমীতে ১৬৪তম ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি।

বেনজীর আহমেদ বলেন, “পুলিশ বাহিনীর দায়িত্ব জনগণকে সেবা করা, ভালবাসা ও দুর্দিনে সাহায্য করা। পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া।”

তিনি আরও বলেন, “জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই দেশের পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। বর্তমান সরকারের সময় পুলিশের আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে উন্নত দেশের পুলিশের সমপর্যায়ে উন্নীত করতে বাজেট বৃদ্ধি ও সাংগঠনিক কাঠামোতে ক্যাডার পদসহ বিভিন্ন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।”

পুলিশ সদস্যদের আধুনিকায়নে অপরাধী শনাক্তকরণ ও মামলা তদন্তে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের লক্ষে সাইবার সেন্টার, ডিএনএ ল্যাব, পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্ট, সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং গঠন করা হয়েছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ নিমূলে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে পুলিশ।”

প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্টত্ব অর্জনকারী তিনজনকে ক্রেস্ট প্রদান করেন আইজিপি। এদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন সিয়াম সিদ্দিকী সাগর।

সমাপনী কুচকাওয়াজে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমী সারদার প্রিন্সিপ্যাল ও এআইজি আবু হাসান মুহম্মদ তারিক, পুনাকের সভানেত্রী বেগম জীশান মীর্জা, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, চারঘাট পৌরসভার মেয়র একরামুল হকসহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা।