দুর্জয় ওয়েব ডেস্ক : পদ্মা সেতু নির্মাণে ‘দুর্নীতি হওয়ায়’ আওয়ামী লীগ সরকারকে ধন্যবাদ দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “ধন্যবাদ জানালে আমরা ছোটো হইতাম না? ধন্যবাদ জানাইতে পারতাম যদি এই সেতু প্রতিষ্ঠার সাথে বা নির্মাণের সাথে ওদের (সরকার) দুর্নীতি নামক শব্দটা সম্পৃক্ত না থাকত, যদি এটা দুর্নীতিবিহীন স্বচ্ছতার সাথে সেতুটা নির্মাণ হত, অবশ্যই আমরা ধন্যবাদ জানাতে পারতাম।
“কিন্তু এখন সেতুর জন্য ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আমরা তো তারে এখান থেকে গচ্ছিত টাকাটাকে হালাল করতে পারি না। সেই কারণে দুঃখিত, যে প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, সেই প্রকল্পের জন্য ধন্যবাদ দিতে পারি না।”
পদ্মা সেতুতে অর্থায়নে বিশ্ব ব্যাংক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে পিছু হটেছিল। এ নিয়ে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের পথে এগিয়ে যায়। ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকার নির্মিত সেই সেতু চালু হয় গত সপ্তাহে।
বিশ্ব ব্যাংক দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ তুলেছিল, তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। এ নিয়ে কানাডার আদালতে মামলাও হয়েছিল, কিন্তু তা টেকেনি।
পদ্মা সেতুর নির্মাণব্যয় জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে গয়েশ্বর বলেন, “জনগণের পক্ষ থেকে ডাইরেক্ট অনুরোধ- আপনারা শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। কত টাকা ব্যয় হলে, কেনো হল- এখানে যে টাকা আত্মসাৎ বা লুটপাট হয় নাই- তা আপনারা প্রমাণ করেন। যেদিন প্রমাণ করতে পারবেন, সেদিন ধন্যবাদ জানাব।”
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তা প্রত্যাখান করে বিএনপি।
গয়েশ্বরের কথায়, “পদ্মা সেতুৃ কেউ কেউ বলেন যে, খালেদা জিয়া তারে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ধন্যবাদ দিতে পারত। খালেদা জিয়া বন্দি। আইনমন্ত্রী বললেন, যেতে বাধা নেই। যেতে যদি বাধা না থাকে, দাওয়াত দিতে বাধা থাকল ক্যান?
“তিনি আমাদেরকে ঠিকই দাওয়াত দিলেন, আর দাওয়াত দিলেন না আমাদের নেত্রীকে। খেয়াল কইরেন; আমরা যদি উনার দাওয়াত কবুল করতাম, তাহলে আমরা কি রাস্তায় দাঁড়াতে পারতাম? সুতরাং নেত্রীকেও দাওয়াত দেয় নাই, মানে কাউকে দাওয়াত দেন নাই।” সূত্র: bdnews