1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব-সহকারী চাকরিচ্যুত - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১৮ অপরাহ্ন

যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব-সহকারী চাকরিচ্যুত

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২

যশোর প্রতিনিধি: যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে সাত কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় পলাতক কর্মচারী আবদুস সালামকে অবশেষে চাকরিচ্যুত করেছে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) তাকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বোর্ডের ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে সাত কোটি টাকা লোপাট করা হয়। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর এই ঘটনাটি প্রথম ধরা পড়ে। এ ঘটনার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) লিখিত অভিযোগ করে। তদন্তে নেমেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে। এতে আসামি করা হয় পাঁচজনকে।

তারা হলেন- তৎকালীন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাতকে। মামলার কাজ যখন এগিয়ে যাচ্ছিলো তখন গত ডিসেম্বরে তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হন। এরপর দুদকে নতুন উপ-পরিচালক হিসেবে আল-আমিন যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মামলাটির তদন্ত করছেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বোর্ডের হিসাব সহকারী আবদুস সালামকে শোকজ করা হয়েছিলো। ১০ কর্মদিবসে তাকে জবাব দিতে বলা হয়। গত ৫ মার্চ আবদুস সালাম শোকজ নোটিশ জবাবের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেন। কিন্তু বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া না দেয়ায় ৯ মার্চ ডাকযোগে শোকজ নোটিশের জবাব পাঠানো হয়। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর কর্মচারী সালামের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যার প্রধান ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র।

এর আগে বোর্ড কর্মচারী আব্দুস সালাম ২০২১ সালের অক্টোবরে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সালামের তালাবদ্ধ কক্ষটি খোলা হয়। এসময় আলমারির তালা ভেঙে জাল চেক, সিল ও প্যাড পাওয়া যায়।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, গত ২৫ জুন আমরা চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করি। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, আবদুস সালামের যোগসাজসে সাত কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। এছাড়া সে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ।

যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, প্রথমে টাকা লোপাটের ঘটনা আমাদের সহযোগিতায় উদঘাটন হয়েছিলো। তৎকালীন চেয়ারম্যানের বাধার মধ্যেও আমরা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

অভিযুক্ত আবদুস সালামের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা শোকজ নোটিশের জবাব ডাকযোগে ও চেয়ারম্যানের পিএর হাতে পৌঁছে দিয়েছিলাম। জবাবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কথা উল্লেখ করা হয়েছিলো।

সালামকে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহসান হাবীব বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আবদুস সালামকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ৯:১৮)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
181
3272155
Total Visitors