দুর্জয় আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার গুদামগুলোতে পামওয়েলের মজুত বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার পামঅয়েল রপ্তানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা গেছে, আগামী আগস্ট পর্যন্ত এ নিয়ম কার্যকর থাকবে। এতে একদিকে রপ্তানি বাড়বে অন্যদিকে কোম্পানিগুলো নতুনভাবে পামঅয়েল সংগ্রহ করবে। শনিবার (১৬ জুলাই) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জানা গেছে, ১৫ জুলাই থেকে অপরিশোধিত পামঅয়েলের শুল্ক সম্পূর্ণ রূপে প্রত্যাহার করা হবে। দেশটিতে এক টনে দুইশ ডলার শুল্ক দিতে হয়। ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পামঅয়েলের অন্যান্য পণ্যেও একই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।
তবে এ শুল্ক সেপ্টেম্বরের ১ তারিখ থেকে আবার কার্যকর হবে। যদি এক টন অপরিশোধিত পামঅয়েলের দাম এক হাজার ৫০০ ডলার ছাড়িয়ে যায় তাহলে শুল্ক দিতে হবে ২৪০ ডলার।
এর আগে বিশ্বের বড় পামঅয়েল উৎপাদনকারী দেশটি এপ্রিলে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যদিও পরে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্য রক্ষণশীলতার কারণে দেশটিতে মজুত বেড়ে গেছে অত্যধিক।
এরপর থেকে ইন্দোনেশিয়ার সরকার রপ্তানি বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। তাদের রপ্তানির কারণে পামঅয়েলের বৈশ্বিক মূল্য কমে গেছে ৫০ শতাংশ। বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত ভোজ্যতেল হচ্ছে পাম। এটির অভাবে সয়াবিন তেলের দামও বেড়ে যায়।