সম্পাদকীয়: ২০১৫ সালের ২৫ শে মে গভীর রাতে যশোরের শেখহাটি এলাকার সার্জেন্ট বেলালের ছেলে ইসমাইল ও আড়পাড়ার আল-আমিন কে গণপিঠুনির নাটক সাজিয়ে হত্যা করেছিলো তৎকালীন চাঁচড়া ফাঁড়ির আইসি এস আই জামাল উদ্দীন । জোড়া খুনের ঐ মামলায় এসআই জামাল উদ্দীন কে প্রধান আসামি করে এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার, এ এসআই জসিম উদ্দীন সহ মোটা পাঁচজন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে সে মামালাও মাঝপথে থেমে যায়।
এরপর নারায়ণগঞ্জে বদলি হন জামাল সেখানেও নারী কেলেঙ্কারীতে জড়িয়ে পড়লে ফের খুলনা রেঞ্জে বদলি করা হয় জামালকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হলেও তাতে জামালের উপর তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। তারপর থেকে বেশ কয়েক বছর আলোচনায় ছিলেন না তিনি।
ধারনা করা হচ্ছিল এসআই জামাল হয়তো বরখাস্ত হয়েছেন। কিন্তু গেল ১৬ জুলাই শনিবার মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের আছির উদ্দিনের ছেলে কে লাইন পরিবহনের কর্মচারী আবদুস সালামকে পিটিয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ফের সমালোচনার মুখে পড়েছেন এস আই জামাল উদ্দীন। এ ঘটনায় উপজেলার নাকোল ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই জামালকে প্রত্যাহার করে মাগুরা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করেছেন পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম একই সাথে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন তিনি।
এমন ঘটনা জামালের ক্ষেত্রে নতুন নয়। সেকারণে বিচারহীনতার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগীরা। এমন বিভাগীয় তদন্ত কত বার হয়েছে জামাল নিজেও তার হিসাব জানেন কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তবে কোন তদন্ত প্রতিবেদনই যে আলোর মুখ দেখেনি তাঁর প্রমাণ হলো চাকুরিতে বহাল থেকে ফের আবদুস সালাম হত্যাকাণ্ড।
উপজেলার চৌগাছী এলাকার রাশেদ নামে এক যাত্রীর সাথে ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে হাতাহাতি হয় সালামের বিষয়টি সেখানে স্থানীয় লোকজন মিমাংসাও করে ফেলেন। কিন্তু রাশেদ তাতে সন্তুষ্ট হতে না পেরে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশি সহয়তা চাইলে নাকোল ফাঁড়ির আইসি এসআই জামাল উদ্দীন দ্রুত ছুটে যান সেখানে স্টাটার সালাম কে মারধর করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করলে সালাম অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে হাসপাতালে নেয়ার পথে ঐদিন সন্ধ্যায় মারা যায় সালাম।
এবার কি আলোর মুখ দেখবে জামালের বিরূদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন এমন জিজ্ঞাসা জনমনে।
Leave a Reply