1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
নেই আদালতের রায় , জিডির অভিযোগে ঝিনাইদহে ৩ বছর কারাবন্দী এক প্রতিবন্ধী - চ্যানেল দুর্জয়
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন

নেই আদালতের রায় , জিডির অভিযোগে ঝিনাইদহে ৩ বছর কারাবন্দী এক প্রতিবন্ধী

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২ আগস্ট, ২০২২

আশিকুর রহমান : মামলা নেই, নেই আদালতের সাজা। মাত্র জিডি’র ওপর ভর করে প্রায় তিন বছর ঝিনাইদহ জেলখানায় বন্দি রয়েছেন এক প্রতিবন্ধী। তার নাম, বাড়ি ও জন্ম পরিচয় এই তিন বছরেও রয়েছে অজানা। এদিকে গত রোববার জেলখানায় বন্দি ওই প্রতিবন্ধীর পরিচয় সনাক্ত করতে উদ্যোগ নেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের তৎকালীন এসআই মো. ইউনুস আলী গাজী ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকা থেকে অজ্ঞাতনামা ওই প্রতিবন্ধীকে স্থানীয় লোকজনের হেফাজত থেকে উদ্ধার করে সেফ কাস্টডির (নিরাপত্তা হেফাজত) জন্য আদালতে সোপর্দ করেন। ৩১ আগস্ট ২০২০ সালে আদালতের নির্দেশে ওই ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হতে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ আদালতকে অবগত করে যে, সাধারণ কাগজে সংগৃহীত আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা সঠিক পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব নয়। তবে ডিজিটাল ডিভাইজের মাধ্যমে ডাব্লিউউি.এস.কিউ ফরমেটে আঙ্গুলের ছাপ গ্রহণ করা হলে তা সঠিকভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব। প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ইয়াছিন আলী নাম-ঠিকানা যাচাই সংক্রান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, অজ্ঞাত ব্যক্তির চেহারা অঙ্গভঙ্গি অনেকটা রোহিঙ্গাদের মত। ঝিনাইদহের জেল সুপার এ বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেন যে, অজ্ঞাত ব্যক্তি কারাগারে আসার পর থেকে তার নাম-ঠিকানা বলতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে মামলা নেই। শুধুমাত্র সাধারণ ডায়েরি মূলে তিনি ২ বছর ৮ মাস কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ঝিনাইদহ অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজয়ন্ত বিশ্বাস আদেশে উল্লেখ করেছেন যে, নাম ঠিকানা-বিহীন অজ্ঞাত পুরুষটি একজন বুদ্ধি ও বাক প্রতিবন্ধী। বিনা বিচারে কাউকে জেলহাজতে আটক রাখা ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থি। অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে অবিলম্বে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে তার নাম-ঠিকানা উদঘাটন করা প্রয়োজন। এ কারণে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে ঝিনাইদহ নির্বাচন অফিসে নিয়ে যথাযথ ফরমেটে আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে ম্যাচিংপূর্বক আদেশ প্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আদেশ প্রাপ্তির তারিখ থেকে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে স্ব স্ব এখতিয়ারাধীন অঞ্চলে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওই ব্যক্তির ছবি যাচাই-বাছাইপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় টেকনাফ, উখিয়া ও ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মবর্তাদের সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের জেল সুপার অনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অজ্ঞাত ব্যক্তি জেলখানায় সুস্থ আছে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. আজিজুর রহমান বলেন, একজন ব্যক্তি বিনা অপরাধে কোনভাবেই জেলখানায় বন্দি থাকতে পারে না। এটা সভ্য সমাজে অমানবিক। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা সঠিক।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (বিকাল ৫:১১)
  • ২৫শে এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৬ই শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ১২ই বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
155
3271512
Total Visitors