নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গতকাল (১৫ আগস্ট) বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার পড়ে উত্তরার জসীমউদ্দীন সড়কে ঘটা দুর্ঘটনায় পাচঁজন নিহত হয়। এ ঘটনায় এবার নতুন আলোচ্য বিষয় উঠে এলো। গার্ডার চাপায় নিহত হৃদয়ের বাবা রুবেল হাসানের (৫০) স্ত্রীর দাবিতে হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন ৩ নারী। তাদের প্রত্যেকের দাবি, রুবেল হাসান তাদের স্বামী এবং তাদের প্রত্যেকের ঘরেই রয়েছে সন্তানাদি।
ময়নাতদন্তের জন্য অন্যদের সাথে রুবেলের মরদেহ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে তার স্ত্রী দাবি করে উপস্থিত হওয়া ৩ নারী ছাড়াও নিহত রুবেলের মেয়ে দাবি করছেন আরও এক নারী।
নিজেকে নিহত রুবেলের মেয়ে দাবি করা ওই নারী জানান, তার মায়ের সাথে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে রুবেলের। তার সম্পর্কে হৃদয়ও জানে বলে দাবি এই নারীর। তিনি জানান, আমার বাবা কখনো আমাকে কোনো টাকা-পয়সা দেয়নি। ফেসবুকের মাধ্যমে আমি ঘটনা জানতে পারি। রুবেলের কয়জন স্ত্রী আছে জানতে চাইলে এই নারী ৫ জনের নাম উল্লেখ করেন। এছাড়া আরও একজন নারীও আছেন, কিন্তু তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
এদিকে স্ত্রী দাবি করা তিন নারীর দাবি, রুবেলের একাধিক স্ত্রীর অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতেন না তারা। এক নারীর দাবি, সম্প্রতি এ বিষয়ে জানতে পেরে মামলা করেন তিনি। সেই মামরার শুনানি চলছে এখনও। এখন মরদেহ দাবি করছেন স্ত্রীরা। ফলে রুবেলের মরদেহ হস্তান্তর করা নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা।