ঢাকা অফিসঃ
রাজধানীর ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় মিনি কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অনন্যা চৌধুরী (২১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। টানা ছয়দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে এবং চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে হার মানলেন তিনি।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
অনন্যা ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সাইন্সের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় আহত হন অনন্যা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভাটারা থানার ওসি সাজেদুর রহমান সমকালকে বলেন, ‘নর্থ এন্ড কফি রোস্টারস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাভার্ডভ্যান এ দুর্ঘটনা ঘটায়। সেদিনই ভ্যানটির চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করেন। এখন চালক কারাগারে আছেন। ময়নাতদন্তেও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, অনন্যা পূর্ব বাসাবো এলাকায় তার খালা বেবী আক্তারের বাসায় থাকতেন। তার মা জহুরা খাতুন আট বছর আগে মারা গেছেন। মায়ের মৃত্যুর পরে তার বাবা আবদুল্লাহ চৌধুরী আরেকটি বিয়ে করেন। মা-বাবার স্নেহবঞ্চিত অনন্যা তার খালা-মামার কাছেই বেড়ে ওঠেন।
নিহতের মামা আবদুল মান্নান জানান, ঘটনার দিন সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে বারিধারা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান অনন্যা। দুপুরে তার বাসায় ফেরার কথা ছিল। তবে এর আগেই তার দুর্ঘটনার খবর আসে স্বজনের কাছে। তখন সবাই হাসপাতালে ছুটে যান।
দুর্ঘটনার পর অনন্যাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আশফাক সুমন জানান, দুর্ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপশম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।