শুমাইয়া শুমু : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নাছরিন আক্তার (২০) নামে এক নারী ৪ পা বিশিষ্ট একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে মিরসরাইয়ের বারইয়ারহাটস্থ শেফা ইনসান হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শিশুটির জন্ম হয়।
শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮শ গ্রাম। প্রসূতি মা নাছরিন আক্তার সুস্থ থাকলেও শিশুটি জন্মের পর থেকে হালকা শ্বাসকষ্টে ভুগছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে রেফার করা হলেও শিশুটির পরিবার বাড়িতে ফিরে গেছেন। ওই গৃহবধূ ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার ১নং বাগানবাজার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাতির খেদা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার (১৮) প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫টার সময় হাসপাতালের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়ার তত্ত্ববধানে ওই গৃহবধূ ৪ পা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম দেন। শিশুটির ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা কাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮শ গ্রাম।
শেফা ইনসান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রসূতি ও স্ত্রী রোগে অভিজ্ঞ ডা. মারিয়া কিবতিয়া বলেন, ‘সোমবার রাত ২ টার দিকে গৃহবধূ নাছরিন আক্তার প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে মঙ্গলবার ভোর ৫ টার সময় ওই গৃহবধূ ৪ পা বিশিষ্ট একটি কন্যা শিশুর জন্ম দেয়।’
শেফা ইনসান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এস এ ফারুক বলেন. ‘৪ পা বিশিষ্ট শিশুটির স্বাভাবিকভাবে জন্ম হয়। তবে তার ৪ পায়ের মধ্যে ২ টি পা ক্লাব ফুট (মুগর পা) এবং বাকি ২ টি পা অস্বাভাবিক এবং মেরুদন্ড মেনিগোসিল। শিশুটির ওজন ২ কেজি ৮’শ গ্রাম। শিশুটির মা পুরোপুরি সুস্থ্য আছে। তবে শিশুর হালকা শ্বাস কষ্ট রয়েছে।