নিজস্ব প্রতিবেদক: মৃত্যুর পাঁচ মাস ২১ দিন পর মোফাজ্জেল দফাদার (৩৫) নামে ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলণ করেছে পিবিআই যশোরের ইন্সপেক্টর হিরন্ময় সরকার।
মৃত ব্যক্তি যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আব্দুল জলিল দফাদারের ছেলে ও চাউলিয়া মোজাহার মেটাল ওয়াকার্সের শ্রমিক ছিলেন।
আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার গোপালপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।
পিবিআই যশোরের ইন্সপেক্টর হিরন্ময় সরকার জানান, নিহত মোফাজ্জেল দফাদারের পিতা আব্দুল জলিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে মৃত্যুর ৫ মাস পর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে৷ লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদি ও নিহতের পিতা আব্দুল জলিল জানান, তার ছোট ছেলে মোফাজ্জল দফাদার চাউলিয়ার ‘মোজাহার মেটাল ওয়াকার্স’ এ সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ওই প্রতিষ্ঠানের অন্য শ্রমিক রূপদিয়া গ্রামের মিনহাজ ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ ব্যবহার করতো। সে কারণে তার ছেলে ওই প্রতিষ্ঠানে দুই মাস কাজ বন্ধ করে অন্যত্র কাজ করতো। পরে প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক সরদার গোপালপুরের আদর্শ গ্রামের ফজলুল করিমের ছেলে হাসান প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার একই গ্রামের মইনো দফাদারের ছেলে সোহেলের প্ররোচনায় বেশি বেতনের প্রতিশ্রুতিতে গত ২৮ আগষ্ট থেকে আবারো সেই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন।
তিনি আরও জানান যে, চার দিন কাজ করার পর ১ সেপ্টেম্বর তার ছেলে প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য যান। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর সকালে আসামী সোহেল তার বড় ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে মোবাইলের মাধ্যমে তার ছোট ছেলের মৃত্যুর খবর জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলের মৃতদেহ না পেলে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার একই উপজেলার ঘোড়াগাছা গ্রামের খালিদের দেওয়া তথ্যমতে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মৃতদেহ সনাক্ত করেন।
এ সময় তার অন্য ছেলে রুবেল হোসেন লাশের ছবি তুলতে চাইলে হাসান ও খালিদ বাঁধা দেন। পরে মোজাহার মেটাল ওয়াকার্স এর মালিক তাদেরকে ময়না তদন্ত না করার পরামর্শ দিয়ে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় আসামীদের চাপে পড়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফন করেন তারা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে সঠিক তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ করবেন বলে জানান ইন্সপেক্টর হিরন্ময় সরকার। এর আগেও হিরন্ময় সরকার অনেক ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে পিবিআইকে জনগণের মধ্যে বিশস্ত করে তুলে ধরেন৷ এখন আশায় বুক বেঁধেছেন মৃত মোফাজ্জলের পিতা আব্দুল জলিল।