ছাকিন হোসেন : যশোরে সুরাইয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে শহরের রেলগেট মজিদ সড়ক এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ফাহিম হোসেনের স্ত্রী। শ^শুরবাড়ির লোকজন বলছেন, আত্মহত্যা করেছেন। আর পিতার বাড়ির স্বজনদের দাবি যৌতুকের দাবিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এঘটনায় শ^শুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
মৃত সুরাইয়ার শ্বশুর বাড়ির পাশের একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, তাদের দেড় বছরের মেয়েকে দুধ খাওয়ানো নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। কিছুসময় পর চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাওয়া যায়। গিয়ে দেখি সুরাইয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অভিমান করে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
অপরদিকে মৃতের মা নীলা বেগম জানান, সুরাইয়ার স্বামী ফাহিম হোসেন ও ননদ নিপুন আক্তার যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত তাকে নির্যাতন করতো। ফাহিম হোসেন কিছুদিন পরপর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতো। বহুবার টাকা দেয়া হয়েছে। বেশ কয়েকদিন যাবৎ আবারও ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে বলেন। সুরাইয়া রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করে লাশ হাসপাতালে রেখে তারা পালিয়েছে। এ হত্যাকা-কে ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সুরাইয়ার বাবা মোশারফ হোসেন।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, গৃহবধূকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। পরবর্তীতে তাদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।