নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিন্মচাপটি আরও উত্তর -উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এটি আগামী ২-১ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পরতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডব ও জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ ব্যবসায়ীদের গুদামের ভোগ্যপণ্য যাতে জলোচ্ছ্বাসে নষ্ট হতে না পারে এবং খাদ্যদ্রব্যের সংকট তৈরি না হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানিয়েছেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার নিত্যপণ্যের গুদামের ফটকে ইট-সিমেন্টের শক্ত প্রতিরোধক দেয়াল দিতে হবে যাতে জলোচ্ছ্বাস বা জোয়ারের পানি ঢুকতে না পারে। একই সঙ্গে কাঠের ফ্রেম বা চৌকি বানিয়ে নিচু এলাকার গুদাম ও দোকানের পণ্যসামগ্রী রাখতে হবে।
অবশ্যই শুক্র ও শনিবারের মধ্যে এ কাজটি করে ফেলতে হবে।
এ সময় তিনি ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির নানা দিক তুলে ধরেন।
চেম্বার সভাপতি আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবেলায় নগরের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে মেডিক্যাল সরঞ্জাম, ওষুধ, শুকনো খাবার মজুদ রাখা এবং খাদ্য গুদামের মালামাল জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, নাগরিকদের সচেতনতার জন্য প্রচার প্রচারণা, জীবনের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নাগরিকদের আশ্রয় উপযোগী করার জন্য জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, এনজিও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং জানমাল নিরাপদ রাখার লক্ষ্যে জনগণকে প্রস্তুত থাকতে হবে।