যশোরে উদ্ধার হওয়া লাশটি রুপদিয়া মুনসেফুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এসএম মইনুল হোসেনের। তার বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামে। শিরিনা খাতুন লাকি নামে এক নারী মরদেহটি তার স্বামীর বলে দাবি করেছেন। পাওয়া টাকা চাইতে পাচবাড়িয়ায় এসে তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন-এমন দাবিও করেছেন লাকি।
আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকালে মরদেহটি উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। বিষয়টি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে সেই ভিডিও ও ছবি দেখেই শিরিনা খাতুন লাকি ছুটে আসেন হাসপাতালে। তিনি মরদেহটি দেখে বলেন-এটি আমার স্বামী।
তার অভিযোগ পাঁচবাড়িয়া গ্রামের হাসান ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ধারদেন মৃত মাইনুল সে টাকা নিতেই যশোর আসেন তিনি, কিন্তু পাওনা টাকা পরিশোধ না করে হাসান ও তার চেলে টিটু মইনুল হোসেনকে হত্যা করেছে। তার স্বামীর পকেটে একটি চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠিতে মৃত্যুর কারণ লেখা আছে বলেও দাবি লাকির।
তিনি বলেন-পাওনা টাকা আদায় করতে গত ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হন মাইনুল। এরপর থেকে তার স্বামী নিখোঁজ ছিলেন। তিনি স্বামী হত্যায় জড়িতদের আটক ও দ্রুত শাস্তির দাবি করেছেন।
এ ঘটনায় যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল জুয়েল ইমরান বলেন, লাকি বেগম নামে এক নারী দাবি করছেন এটা তার স্বামী এসএম মইনুল হোসেনের লাশ। পুলিশ বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখছে।