নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচির উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তারা বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এদিকে, ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য। এছাড়া পুলিশ ও সেনাবাহিনীর এপিসি, জলকামান প্রস্তুত রয়েছে।
দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায়। সেখানে তারা ভেতরে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ। এছাড়া, সেখানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করতে যায় অর্ধশত জনতাকে। ব্যক্তিগত ব্যানারেও কেউ কেউ অবস্থান নিয়েছেন।
রাষ্ট্রপ্রধানের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত কর্মসূচি চলছে। সেখানে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বয়করাসহ শিক্ষার্থী, জনতা অবস্থান নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্য দেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-আলোচনা সৃষ্টি করেছে বেশ। এমন মন্তব্যের জেরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চাইছেন শিক্ষার্থীদেরসহ অনেকে। যদিও গতকাল সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত। এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।