যশোর প্রতিনিধি :
যশোরের সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে ঋষি সম্প্রদায়ের ৩ টি পরিবারের বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে । গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তা না পেয়ে ভয়ে থানায় অভিযোগ পর্যন্ত করতে পারেননি ভুক্তভোগীরা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় এক সপ্তাহপর বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন তারা।এ ঘটনায় নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদ সহ অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের অভিযুক্ত করা হলেও এখনো কাউকেই আটক করা যায়নি। উপজেলা জামায়াতের নেতারা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ভিডিও নিউজটি দেখুন
যশোরের সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বিএনপির সহ সভাপতি সাঈদ মেম্বারের কাছ থেকে ঋষি সম্প্রদায়ের সুজন দাস, ধীরেন কুমার দাস ও দীপক দাস ৫ শতক জমি ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করে প্রায় ৪০ বছর যাবত বসবাসও করে আসছিলেন। ইউনিয়নটির ঘোড়াগাছা শ্রীপদ্দি দাসপাড়া গ্রামের ওই জমিটি আজকাল করে নানা টালবাহানায় রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে সম্প্রতি রিপন নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন আবু সাঈদ। জমির দখল না ছাড়ায় গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ঋষি পরিবার গুলোর ঘরবাড়ি ভাংচুর ও বাসিন্দাদের মারধর করেছে ইউনিয়নের বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদ মেম্বার ,হাফিজুর ,জাহিদ ও রিপন সহ দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা বিএনপি নেতার পক্ষ নিয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তোভোগীদের ।
এদিকে ভাংচুরের পর ভুক্তভোগীদের থানায় যেতে বাঁধা প্রদান সহ জমি খালি করে দেয়ার জন্য উপর্যুপরি হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছে ওই বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীরা।
আরও পড়ুন : যশোরে ধর্মীয় ছদ্মবেশে ‘মুসলিম নারীদের’ দেহ টার্গেট নড়াইলের উজ্জ্বল কুমারের
খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আশরাফ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ন্যয়বিচার পাওয়ার জন্য তাদের থানায় যেতে সহায়তা করেন। এবং ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
কোতয়ালী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এ ঘটনায় সুজন দাস নামে এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা রুজু হয়েছে । আসামি আটকে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে ।
মামলা হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন মূল অভিযুক্ত নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি আবু সাঈদ তার মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে । সংখ্যালঘুদের উপর এমন বর্বরোচিত হামলার বিচার দাবি করেছেন স্থানীয়রা। একই সাথে পুলিশকে পেশাদার ও জনবান্ধব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply