আজকাল ইন্টারনেটে আশ্চর্য এক সিন্দুক নিয়ে ফিসফাস চলছে। যা আমেরিকার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের একটি ক্ষেতে অনেক বছর মাটির নিচে ছিল। কিছুদিন আগে সেখান থেকে এটি আবিষ্কৃত হয়েছে।
কেউ জানে না, ধাতব বস্তুর তৈরি এ সিন্দুক কার এবং কত বছর পূর্বে এখানে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সিন্দুকটির গায়ে অবশ্য একটি কাগুজে বার্তা সেঁটে দেওয়া। যার মধ্যে লেখা রয়েছে, ‘যেই এ সিন্দুক খুলতে সফল হবে, সিন্দুকে রাখা সবকিছু তার হবে।’ অর্থাৎ এটি এক ধরনের চ্যালেঞ্জও বটে।
এই সিন্দুকটি একজন স্থানীয় জমিদার কার্স মেথিসের ক্ষেত থেকে আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু ঐসময় তিনি অন্য একটি শহরে ছিলেন। তাকে ফোন দিয়ে এ সিন্দুক আবিষ্কারের সংবাদ জানানো হয়।
আমাদের দেশের ন্যায় আমেরিকাতেও তৎক্ষণাত উৎসুক লোকজনের ভীড় জমে যায় সিন্দুক দেখতে। কেউ কেউ তো সিন্দুকটি খোলার জন্য হাতুড়ি, কুঠার, শাবল এবং লোহার অস্ত্রও ব্যবহার করতে ছাড়েনি। কিন্তু তাতে খোলা তো দূরে থাক, সিন্দুকের গায়ে আঁচড়ও যেন লাগেনি।
ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ এসে লোকজনকে ক্ষেত থেকে সরিয়ে দেয়। ততক্ষণে মেথিসও সেখানে এসে পৌঁছান। তিনি পুলিশের সাহায্যে সিন্দুকটি নিজ গাড়িতে করে ঘরে নিয়ে যান। তার বক্তব্য হলো, এই রহস্যজনক সিন্দুকটির ওজন অন্তত ৫০০ পাউন্ডের কম নয়।
সিন্দুকটিতে কী আছে- এ ব্যাপারে মেথিসের বক্তব্য হলো, সিন্দুকটিতে হিরে-মানিক থাকুক, বা বাচ্চাদের পুরাতন খেলনা- তাতে তার কিছু যায় আসে না।
এই মুহূর্তে মেথিস নিজেই এ সিন্দুক খুলতে আগ্রহী নন। বরং আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে সিন্দুকটির ওপর শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ দিয়ে রেখেছেন।
‘বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারির আতংক মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে রয়েছে। এ অবস্থায় যদি এই রহস্যময় সিন্দুকের বাহানায় মানুষের মনোযোগ অন্যদিকে নিবদ্ধ হয়, তাহলে এতে খারাপের কিছু নেই’- কার্স মেথিস স্থানীয় টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাতকারে এই কথা বলেছেন।