ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন অধ্যাপকের গবেষণায় জালিয়াতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ট্রইব্যুনাল গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাবির নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
ঢাবির ওই তিন অধ্যাপক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান ও অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান এবং ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক।
এদের মধ্যে সামিয়া-মারজানের চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যায় সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গঠন করা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান করা হয়েছে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে। আর ওমর ফারুকের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠিত ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ও সিন্ডিকেট সদস্য এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনকে।
বিষয়টি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতদারুজ্জামান। তিনি বলেন, সামিয়া, মারজান এবং ওমর ফারুকের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কমিটির তদন্তে সামিয়া ও মারজানের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ তাদের শাস্তি নির্ধারণে এর আগের সিন্ডিকেট সভায় ট্রাইব্যুনাল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল; কিন্তু ট্রাইব্যুনালে কারা থাকবেন, তা সেদিন নির্ধারিত হয়নি আজকের সিন্ডিকেট সভা থেকে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের ডিগ্রি বাতিল হলেও তিনি কোনো শাস্তি পাননি। তার শাস্তি নির্ধারণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ও সিন্ডিকেট সদস্য এ এফ এম মেজবাহ উদ্দিনকে চেয়ারম্যান করে আরও একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।