1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
ঈদের আগে লকডাউন বেশি কঠোর ছিল - চ্যানেল দুর্জয়
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন

ঈদের আগে লকডাউন বেশি কঠোর ছিল

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার।। গত মে ও জুনে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পর জুলাইয়ের প্রথম ১৩ দিন দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য ১৪-২২ জুলাই লকডাউন শিথিল করা হয়। তবে ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ফের দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার।

ঈদুল আজহার আগে ও পরের এই লকডাউনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গ্রেফতার, জরিমানা ও মামলার হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ঈদের আগেই বেশি কঠোর ছিল পুলিশ। ওই সময় প্রথম তিনদিনে রাজধানীতে গ্রেফতার ও জরিমানার পরিমাণ ছিল দ্বিতীয় দফার প্রথম তিনদিনের চেয়ে বেশি।

তবে ডিএমপি’র দাবি, ঈদের আগের লকডাউনে মানুষের বাড়ি যাওয়ার তাড়া ছিল। তারা বিধিনিষেধ ও আইন উপেক্ষা করে রাস্তায় বের হতেন। কিন্তু ঈদের পর মানুষের এই তাড়া নেই। অনেকে বাড়ি থেকে এখনও ঢাকায় ফেরেনি। তাই অহেতুক ঘোরাফেরাও কম।

ঈদের আগে-পরে
ঈদের আগের লকডাউনের প্রথম তিনদিনে (১-৩ জুলাই) রাজধানীতে গ্রেফতার হয় এক হাজার ৪৯১ জন। মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয় ৭৬৬ জনকে। একই দিনে ১ হাজার ৩৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। জরিমানা করে ২৯ লাখ ৩১ হাজার ৬০০ টাকা।

পক্ষান্তরে ঈদের পরের লকডাউনের প্রথম তিনদিনে মহানগরীতে এক হাজার ৩৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মোবাইল কোর্টে জরিমানা করা হয় ৫৭৩ জনকে।

অর্থাৎ ঈদের পরের লকডাউনের চেয়ে আগের লকডাউনে ১১৮ জন বেশি গ্রেফতার হয়েছিল। দ্বিতীয়বারের লকডাউনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ১ হাজার ৪০৩টি গাড়িকে ৩৪ লাখ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছে। সেই হিসাবে অবশ্য দ্বিতীয় লকডাউনে গাড়ির জরিমানা ও মামলা বেড়েছে।

লকডাউনে ডিএমপির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঈদের আগের লকডাউনের প্রথম দিন (১ জুলাই) রাজধানীতে গ্রেফতার হয়েছিল ৫৫০ জন। মোবাইল কোর্টে জরিমানা হয় ২১২ জনের। ‍মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হয় ৩৯১ জনকে। অর্থাৎ প্রথমদিন ১১৫৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় ডিএমপি, ক্রাইম বিভাগ ও মোবাইল কোর্ট। একই দিনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনে মামলা দেয় এবং ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করে।


অপরদিকে, ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউনের প্রথমদিন ২৩ জুলাই ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোবাইল কোর্টে ২০৩ জনকে ১ লাখ ২৭ হাজার ২৭০ টাকা জরিমানা করা হয়। একই দিন ট্রাফিক বিভাগ ৪৪১টি গাড়িকে ১০ লাখ ৬০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঈদের আগের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন (২ জুলাই) রাজধানীতে গ্রেফতার হয়েছিল ৩২০ জন। মোবাইল কোর্টে জরিমানা হয় ২০৮ জনের। একই দিন ট্রাফিক বিভাগ ২১৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে ও জরিমানা আদায় করে ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা।

ঈদের পরের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন ২৪ জুলাই ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জরিমানা হয় ১৩৭ জনের। তাতে আদায় হয় ৯৫ হাজার ২৩০ টাকা। ট্রাফিক বিভাগ এদিন ৪৪১টি গাড়িকে ১০ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।

ঈদের আগে প্রথম লকডাউনের তৃতীয় দিন (৩ জুলাই) ঢাকায় গ্রেফতার হয় ৬২১ জন। মোবাইল কোর্টে ৩৪৬ জনকে জরিমানা করা হয় এক লাখ ৬ হাজার ৪৫০ টাকা। ওইদিন ৫৪০টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী ১৯ লাখ ২২ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

২৫ জুলাই রাজধানীতে গ্রেফতার হয় ৫৮৭ জন। ডিএমপি ও মোবাইল কোর্টে ২৩৩ জনকে জরিমানা করা হয় ১ লাখ ৯৫০ টাকা। অপরদিকে, এদিন ৫২১টি গাড়িকে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, সরকারঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়ন এবং বিধিনিষেধ মানাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ঈদের আগেই বেশি কঠোর ছিল।

তবে ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে যে কয়টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হতো, এখনও সে কয়টি হচ্ছে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট রয়েছে। ট্রাফিক বিভাগ কঠোর পরিশ্রম করছে। ঈদের আগে মানুষের বাড়ি যাবার চাপ ছিল। তাই সেই সময় গ্রেফতার-জরিমানা বেশি হয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বেড়েছে। তাই গ্রেফতার-জরিমানা কম হচ্ছে।’

প্রথম লকডাউন ঘোষণার সময় ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম হুঁশিয়ারি করে বলেছিলেন, ‘নাগরিকদের অবশ্যই লকডাউন মেনে চলতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যিনিই বের হবেন, তাকেই গ্রেফতার করা হবে।’

কমিশনারের এই ঘোষণার পর প্রতিটি এলাকাতেই পুলিশকে কঠোর হতে দেখা গেছে।

গত ১ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই ১৩ দিনের লকডাউনে বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘরের বাইরে বের হওয়ায় মোট ১১ হাজার ৪৩৪ জনকে গ্রেফতার করে ডিএমপি। এরমধ্যে থানা-পুলিশ গ্রেফতার করেছে ৮ হাজার ৫৪০ জনকে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে গ্রেফতারের পর সাজা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮৯৪ জনকে। এ সময় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ২ কোটি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯০৫ টাকা, যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (বিকাল ৪:৪৯)
  • ৩রা মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৪শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ২০শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
339
3379153
Total Visitors