যশোর : যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলামের কাছে চাঁদাদাবির মামলায় দুই আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। আসামিরা হলেন যশোর সদর উপজেলার আরবপুর গোড়াপাড়া গ্রামের আতিয়ার রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও ভায়না গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মাহমুদুল ইসলাম। এসময় বুধবার তাদের প্রত্যেকের পাঁচদিনকরে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্যকরে দুইজনেক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৯ এপ্রিল রাতে কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাত তিন যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন কাজী ফরিদুল ইসলাম। মামলায় আসামিদের মোবাইল নাম্বার ও মোটর সাইকেল নাম্বার উল্লেখ করা হয়। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় জেলা আইনজীবী সমিতির ১ নং ভবনের ২য় তলার তার চেম্বারে বসে ছিলেন। এমন সময় মাস্ক পরা তিন যুবক চেম্বারে যেয়ে ঈদের খরচ বাবদ দুইলাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। যা পরের দিন ২৯ এপ্রিল দিতে হবে উল্লেখ করে চলে যায়। পরের দিন তার মোবাইল ফোনে টাকা কখন দেবে জানতে চান। ফরিদুল তাদেরকে রাত আটটায় চেম্বারে আসতে বলেন। এসময় ফরিদুল সমিতির নেতৃবৃন্দকে বিষয়টি জানায়। তারা অনেকেই ফরিদের চেম্বারে হাজির হয়। এরমাঝে রাত সাড়ে ৮ টায় ওই যুবকেরা সমিতির ১নং ভবনের চেম্বারের সামনে আসে। কিন্তু সেসময় অবস্থা দেগতিক দেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে আইনজীবী সমিতির সিসি ফুটেজে তাদের চেহারা ধরা পরে। এঘটনায় তিনি মামলা করেন। ওই সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত সাড়ে সাতটায় কুইন্স হাসপাতালের সামনে থেকে প্রথমে জাহিদুলকে আটক করে। পরে তার স্বিকারোক্তিতে গভীর রাতে নিজবাড়ি থেকে মাহমুদুলকে আটক করে। এসময় ঘটনায় ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠে আসছে। প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাদের নেপথ্যে কারা রয়েছেন সেবিষয়ে তারা মুখ খুলছেন না। ফলে রিমান্ডে নিয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, কাজী ফরিদুল ইসলামের কাছে চাঁদাদাবির ঘটনায় আইনজীবীরা একট্টা হয়েছেন। শুধু তাই নয়, আইনজীবী সমিতির পক্ষথেকে রেজুলেশন করে আসামিদের পক্ষে যশোরের কোনো আইনজীবী না দাড়ানোর স্বিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।