নিজস্ব প্রতিবেদক : জাল সনদে চাকরিতে যোগদানের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকরি থাকছেনা ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত আইসিটি শিক্ষিকা সুষমা শিরিনা নার্গিস ও সম্মিলনী ইন্সটিটিউট যশোরের শরীরচর্চা শিক্ষক বদরুল আলমের।
১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সহকারী সচিব (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা শাখা) মো. সেলিম শিকদার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদেশে অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতনভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদান সহ সাত দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ইছালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষিকা সুষমা শিরিনা নার্গিস কে ১৬,৪৮,৮৯০ (ষোল লক্ষ আটচল্লিশ হাজার আটশত নব্বই) টাকা এবং সম্মিলনী ইন্সটিটিউট যশোরের শরীরচর্চা শিক্ষক বদরুল আলমকে ৯,০৫,১৭০ (নয় পাঁচ হাজার একশত সত্তর) টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য নার্গিস ও বদরুল স্বামী স্ত্রী।
পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে ৬৭৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জাল সনদ শনাক্ত হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সনদ প্রদানকারী দফতর প্রধান/প্রতিনিধি সমন্বয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক/কর্মচারীদের সনদের সত্যতা যাচাইপূর্বক ৬৭৮ জনের জাল সনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
৬৭৮ জন জাল সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যে সাত ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো:
১. জাল সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা।
২. অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতনভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
৩. যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধাপ্রাপ্তি বাতিল করা।
৪. যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা।
৫. বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের অবসর ভাতা/কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা।
৬. জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের।
৭. জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ।