নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কু-প্রস্তাব দেয়ায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বাবাকে গলা কেটে খুন করেছে মেয়ে। শুক্রবার রাতে কুপ্রস্তাব পাওয়ার পর বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে শনিবার ( ২৬ আগস্ট) সকালে বাবাকে হত্যা করে বিবাহিত মেয়ে ময়না। নিহতের নাম মতিয়ার রহমান মতি (৫৫)। তিনি উপজেলার কাশিপুর গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত মেয়ে ময়না (২২) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন-তিনি বাবার কাছ থেকে কু-প্রস্তাবের বিষয়টি মানতে পারেননি। ক্ষোভ-দুঃখ ও কষ্ট চেপে রাখতে না পেরে বাবাকে খুন করেছেন। তিনি একই উপজেলার কাশিপুর গ্রামের সুমন হোসেনের স্ত্রী।
বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আমি আমার রুমে শুয়ে ছিলাম। রাত ১১টার দিকে আমার বাবা আমার কাছে আসে এবং আমাকে কু- প্রস্তাব দেয়। এতে আমি বিব্রত হওয়াসহ বাবাকে ধমক দিই। এক পর্যায়ে বাবা আমার মাকে যেন কিছু না বলি এই প্রতিশ্রুতি আদায় করে তার নিজ কক্ষে চলে যায়। সকাল ৭টার দিকে আমার বাবা নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। কিন্তু আমি কিছুতেই রাতের ঘটনা মেনে নিতে পারছিলাম না। পরবর্তীতে ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার বাবার গলা কেটে দিই এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত করি। তখন আমার মা আমার সঙ্গেই ছিলেন। আর এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
নিহত মতির তার বড় ছেলে তাজমুল হোসেন বলেন, আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছি। আমার বাবার সঙ্গে প্রায় আমার ফোনে কথা হয়। কিন্তু আমার বাবার বিষয়ে এরকম অপবাদ কখনো আমার মা বা বোনের কাছ থেকে শুনিনি।
এ বিষয়ে জীবননগর থানার ওসি এসএম জাবীদ হাসান বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের কথা শুনে ঘটনাস্থলে থেকে মা ও মেয়েকে আটক করেছি। তারা মতিকে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন। এছাড়াও ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সেটা আমরা তদন্ত করছি।