আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
খাবারের অভাবে আগাছা খেয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী। ইসরায়েলি বর্বরতায় গোটা উপত্যকা যেনো মৃত্যুকূপ। ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় একদিকে মানুষ মরছে, অন্যদিকে খাবার-পানির অভাবেও প্রাণঝুঁকিতে লাখো বাসিন্দা। এমন পরিস্থিতিতে হাতের কাছে যা পাচ্ছেন; তাই খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করছেন বহু ফিলিস্তিনি। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শাকসবজির মতো দেখতে এক ধরনের আগাছা বিক্রি হচ্ছে। মালো নামের এসব অবাঞ্ছিত উদ্ভিদই এখন পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনিদের জীবন ধারণের অন্যতম খাবারে।
মূল্যহীন আগাছার দু-একটিতে ভেষজ গুণাগুণ থাকলেও বেশিরভাগই ব্যবহৃত হয় গরু-ছাগলের খাবার হিসেবে। আর কোন উপায় না পেয়ে, খাবারের অভাবে যা খেয়ে এখন প্রাণ বাঁচাচ্ছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।
বিক্রেতা উম আয়াদ বলেছেন, গাজার প্রতিটা মানুষই ক্ষুধার্ত। শিশুরা খাবারের অভাবে প্রতিনিয়ত কাঁদছে। অথচ এখানে এখন আগাছা ছাড়া খাওয়ার কিছুই নেই। আর তাই, এসব সংগ্রহ করে বিক্রি করছি।
গাজাজুড়ে নির্বিচার হামলা চালানোর পাশাপাশি ত্রাণ প্রবেশেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল। সম্প্রতি, দাতা দেশগুলোর সহায়তার অভাবে, কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন ইউএনআরডাব্লিউএ। অথচ, ১৭ বছর ধরে অবরুদ্ধ উপত্যকার বাসিন্দারা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল।
ফলে, প্রকট হয়েছে খাবারের সংকট। সেই সাথে নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ। খাদ্যের অভাবে মৃত্যুঝুঁকিতে ২৩ লাখ বাসিন্দার সবাই।