বিজেপির সাবেক মন্ত্রী এম জে আকবরকে অপমানের জন্য নয়, জনস্বার্থে বিষয়টি প্রকাশ করেছি— যৌন হেনস্তার অভিযোগের ব্যাপারে শনিবার দিল্লি আদালতকে এমনটাই জানান সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। ১৯৯৩ সালে একটি হোটেলে যৌন হয়রানির ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী আকবরের বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রিয়া রামানির অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতে শুনানি চলছিল।।
রামানির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী রেবেকা জন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে প্রকাশ করা কোনো ঘটনা মানহানির মধ্যে পড়ে না। অন্যের চরিত্রে দাগ লাগানোর ঘটনা যদি জনস্বার্থে প্রকাশ করে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে মানহানির মতো কিছু থাকে না।
তিনি আরো বলেন, প্রিয়া রামানি তার সঙ্গে হওয়া অন্যায় এবং সত্য ঘটনাটা প্রকাশ করেছেন। তিনি কেবল নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সত্য প্রকাশ করেছেন, এটা সত্য, সেটা ভালো উদ্দেশ্যে প্রকাশ করেছেন, অবশ্যই জনস্বার্থে। ৮ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে আবারো শুনানির দিন ঠিক করা আছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ প্রথম করেছিলেন সাংবাদিক প্রিয়া রামানি। সে সময় অবশ্য তিনি আকবরের নাম করেননি। সম্প্রতি এক টুইটে তিনি পুরনো ঘটনা মনে করিয়ে সরাসরি আকবরের নাম নেন। তারপর থেকে একাধিক নারী সাংবাদিক আকবরকে নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানাতে থাকেন।
হোটেলের ঘরে সাক্ষাৎকারের নামে কিভাবে তরুণ সাংবাদিকদের আকবর ডেকে পাঠাতেন, মদ খাওয়াতেন, ঘনিষ্ঠভাবে কাছে বসতে বাধ্য করতেন, অশালীন আচরণ করতেন, নারী সাংবাদিকরা সেসব ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন।
পরিচয় প্রকাশ না করা এক নারী লিখেছেন, তাকে হোটেলে ডাকার কাহিনি। আকবর তাকে জোর করে মদ খাওয়ান এবং জড়িয়ে ধরেন। সেই নারী আরো লিখেছেন, একটা সময় জোর করে ঠেলে দিয়ে দরজা খুলে তিনি হোটেল থেকে বেরিয়ে আসেন।
আকবরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তখনকার, যখন তিনি কলকাতায় ‘সানডে’ ম্যাগাজিন ও ‘দ্য টেলিগ্রাফ’-এর সম্পাদনা করেন। পরে তিনি ‘এশিয়ান এজ’ ও ‘দ্য সানডে গার্ডিয়ান’ পত্রিকা সম্পাদনা করেন। সাংবাদিকতা ছেড়ে আকবর প্রথম যোগ দেন কংগ্রেসে। সাংসদ হওয়ার পর একপর্যায়ে বিজেপিতে যোগদান করে মন্ত্রী হন।
(সূত্র : স্ক্রল ডটইন)