1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
জবিতে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি তড়িঘড়ি - চ্যানেল দুর্জয়
রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন

জবিতে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি তড়িঘড়ি

  • প্রকাশিত : সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ বিতর্কিতদের পদোন্নতিতে বিতর্ক এড়ানোর জন্য সিন্ডিকেট সভার দু’দিন আগে রাতের আধারে ভাইবা কার্ড দিয়ে একই রাতে ভাইবা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাতে বাছাই কমিটির সুপারিশকে অগ্রাহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম সিন্ডিকেট সভায় কয়েকটি বিতর্কিত পদোন্নতির সুপারিশ উত্থাপিত হবে এবং সেগুলো পাসও হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কয়েকজন কর্মকর্তা ও সিনিয়র শিক্ষক।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিষ্টার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় অভিযোগ তদন্তাধীন থাকার কারণে বাছাই কমিটি তাদের সুপারিশ করেনি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের উপাচার্যের কাছে আবেদনের প্রেক্ষিতে উপাচার্যের অনুমতিক্রমে তাদের ভাইবা বোর্ডে ডাকা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযোগ রয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত সহকারী আনোয়ার হোসেন। সেকশন অফিসার গ্রেড-১ পদোন্নতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই কমিটি তাকে সুপারিশ করেনি। কিন্তু বাছাই কমিটির সুপারিশ ছাড়াই তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর মহলের ইশারায় তড়িঘড়ি করে ভাইবার কার্ড প্রদান ও ভাইবা নেয়া হয়েছে।

সাবেক ট্রেজারারের এ ব্যক্তিগত সহকারীকে কর্মচারী থেকে সেকশন অফিসার গ্রেড-২ পদোন্নতিতেও অনিয়মের অভিযোগ আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আপগ্রেডেশন নীতিমালা-২০১৫ অনুযায়ী ব্যক্তিগত সহকারী থেকে সেকশন অফিসার গ্রেড-২ পদোন্নতি পেতে স্নাতক/সমমান উত্তীর্ণ হলে ব্যক্তিগত সহকারী পদে ছয় বছর এবং এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছরের কাজের অভিজ্ঞতা।

এ কর্মকর্তা ২০০৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর আইএসসি পাশ সার্টেফিকেট দিয়ে ল্যাব টেকনেশিয়ান পদে যোগদান করেন। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর শুন্যপদ সাপেক্ষে ট্রেজারের ব্যক্তিগত সহকারী পদে নতুন করে যোগদান করেন। ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল সেকশন অফিসার গ্রেড-২ এ ছয় বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়াই পদোন্নতি পান।

শুধু তাই নয়, গত ১০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি (ঢাকা মেট্রো চ ৫৬-১৬১৩) মাইক্রোবাস কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত ঢাকার বাইরে বিয়ের দাওয়াত খেতে যান। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

আনোয়ার হোসেনের ব্যাখ্যা ও আনীত অভিযোগ পারস্পরিক সাংঘর্ষিক হওয়ায় যথাযথ তদন্তের জন্য চার সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে ট্রেজারার দপ্তর থেকে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কাস দপ্তরে পাঠানো হয়। এই ঘটনার তদন্ত কমিটি গত ৪ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ির চালকের নামে গাড়ি রিকুইজেশন নেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোন কর্মচারী গাড়ি রিকুইজেশন নিতে পারেন না। অভিযোগ আছে, সাবেক ট্রেজারের ঘনিষ্ঠ তদন্ত কমিটির সদস্য পরিবহন প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ গাড়ির চালকের নামে গাড়ি রিকুইজেশন নেয়ার নাটক মঞ্চায়িত করেন। গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার সেলিম ভূঁইয়া এ কর্মকর্তার অপকর্ম থেকে রেহাই ও পদোন্নতির বিষয়টি পাকাপোক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর দিনে রাতে এ কর্মকর্তাকে সেকশন অফিসার গ্রেড-১ পদের ভাইবা কার্ড দিয়ে রাতেই তার ভাইবা নেয়া হয়।

সহকারী রেজিষ্টার জিনাত জেরিনা সুলতানা এ কর্মকর্তার ডেপুটি রেজিষ্টার পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রেও বাছাই কমিটির সুপারিশ ছাড়াই একই দিনে রাতের বেলা ভাইবার কার্ড ইস্যু ও ভাইবা নেয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে তিনি তার দপ্তর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তার অভিযোগের সত্যতা পায়নি। বরং সহকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও হয়রানির জন্য তাকে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি।

২০১৭ সালের ২২ মার্চ থেকে এ কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এ ঘটনায় রেজিষ্টার দপ্তর থেকে কয়েকবার তার ছুটি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। দুই বছর পরে গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় তিনি পদোন্নতির ভাইবার কার্ড নেয়া ভাইবা দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে অসদাচারণের অভিযোগ করেন এ কর্মকর্তা। কিন্তু তার অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় ৬৮তম সিন্ডিকেট তাকে এক বছর পদোন্নতি বা পদোন্নতির আবেদন না করার শাস্তি দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী অপূর্ব কুমার সাহার বিরুদ্ধে অধীনস্ত কর্মচারী রতন সরকারকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার সুরাহা না হতেই তাকে নির্বাহি প্রকৌশলী পদে পদোন্নতির সুপারিশ করা হয়।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • রবিবার (বিকাল ৩:২০)
  • ৫ই মে ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ২৬শে শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরি
  • ২২শে বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
259
3433481
Total Visitors