উজ্জ্বল রায়ঃ
আমরা বিশ্বাস করি আত্মা অবিনশ্বর। তার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, লোকনাথ বাবা ব্রহ্মানন্দ ভারতীকে বলেছেন; “আমি মৃত্যুর সময় অতিক্রম করিয়া বাঁচিয়া রহিয়াছি। এই অবস্থায় নিদ্রা আসিলে আমার মৃত্যু ঘটিবে”।
মহাপ্রয়াণের কয়েকদিন আগে ভক্তদের কাছে প্রশ্ন করে বসেন; “বল দেখি, দেহ পতন হলে কিরূপ সৎকার হওয়া ভাল?”। পরিশেষে বাবা লোকনাথ ভক্তদের অগ্নি দ্বারা দগ্ধ করার নির্দেশ দান করেন। বাবা লোকনাথ ১৯–শে জ্যৈষ্ঠে দেহ ত্যাগ করবেন বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেন ( সকলেই জানেন ) । সেবার ১৯–শে জ্যৈষ্ঠ ছিল রবিবার; সকাল হতে হাজার ভক্তের সমাগম হয় বারদীর আশ্রমে। দুঃখভারাক্রান্ত মনে গোয়ালিনী মা বাল্যভোগ তৈরি করে; নিজ হাতে খাইয়ে দেন লোকনাথ বাবাকে।
ভক্তদের কান্না শুনে ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা বলেন; “ওরে তোরা এত চিন্তায় কাতর হচ্ছিস কেন? আমি কি মরে যাব। কেবল এই জীর্ণ পুরাতন শরীরটা পাত হবে; কিন্তু আমি আছি; যেমন তোমাদের মাঝে ছিলাম; ঠিক তেমনই তোদের কাছেই থাকবো। আমার মৃত্যু নেই। তোরা ভক্তি বিশ্বাস নিয়ে আমাকে একটু আদর করে ডাকলে দেখবি; আমি তোদের কত কাছটিতে আছি; এখনও শুনছি, তখনও শুনব। এ কথা মিথ্যা হবে না”।
“একবার মহামারী কলেরা রোগের সৃষ্টি হয়, বাবা লোকনাথ বুঝতে পারেন যে মা শীতলা বারদী গ্রামের দিকেই অগ্রসর হয়েছেন” তখন বাবা লোকনাথ পথিমধ্যে মা শীতলাকে আটকে দেন, এবং বারদী গ্রামে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন । মা শীতলা অনেক চেষ্টা করেও বাবা লোকনাথকে ফাঁকি দিয়ে বারদী গ্রামে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যান ” ।
বর্তমান প্রেক্ষাগৃহে মহামারী করোনা ভাইরাস থেকেও বাবা লোকনাথ পূর্বের মত তার সকল ভক্তদের রক্ষা করুক এই কামনা করি!
আদর করে ডাকার মত ডাকলেই তিনি সাড়া দেবেন, জয় বাবা লোকনাথ ! আগামী কাল থেকে শুরু হচ্ছে রাখের উপবাস। বাবার আশীর্বাদ সকল প্রাণীর উপরে বর্ষিত হউক।