জিএম সালমান মোস্তফা।। যশোরের কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ায় এবং স্বামীর পক্ষে কাজ না করার অ’ভিযোগ তুলে স্ত্রীকে তা’লাক দিয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী এক বিএ’নপি নে’তা। ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) কেশবপুর পৌরসভা মেয়’রের দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।
ওই আবেদনপত্রে তিনি স্বামীর বি’রুদ্ধে শা’রীরিক ও মান’ষিক নি’র্যাতনেরও অ’ভিযোগ তুলেছেন। স্থানীয়রা জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত কেশবপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১নং ভোগতি নরেন্দ্রপুর ওয়ার্ডের বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন সোহেল হাসান আইদ। তিনি পানির বো’তল প্রতীকে নির্বাচন করেন। মাত্র ৩৮ ভোট পেয়ে জামানতও হা’রিয়েছেন।
ওই নির্বা’চনে তার জন্য কাজ না করার জন্য এবং আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের পক্ষে কাজ করা ও নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অভিযোগে স্ত্রী জামিলা পারভীনকে গত ২ মার্চ তিনি তা’লাক দিয়েছেন।এ বিষয়ে গৃহবধূ জামিলা পারভীন বলেন, ‘১৯৯৬ সালে আমরা প্রে’ম করে বিয়ে করি।
আমাদের একটি ছেলে (সোয়েমারজু অংশু এবার এইচএসসি পাশ করেছে) ও একটি মেয়ে (নাফিসা লুবনা অহনা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে) রয়েছে। শারীরিক অসু’স্থতার কারণে বিরা’মহীনভাবে স্বামীর নির্বাচনে কাজ করতে পারিনি। তারপরও গণ”সং’যোগে যেয়ে আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের জন্য কাজ করছি,
অভি’যোগ তুলে আমার স্বামী তার দুই ভাইপো আলম ও পলাশকে সাথে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ছেলে মেয়ের সামনে আ’মাকে মা’রধর করে এবং সন্তানদেরসহ আমাকে মে’রে ফেলার হু’মকি দেয়। বাধ্য হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি তাদের বিরু’দ্ধে থা’নায় সাধারণ ডায়েরী করি (যার নং- ১০৪১)।
অথচ মনিরামপুর পৌর নিকাহ রেজিষ্টারের মাধ্যমে আইদ আমাকে তালাক দিয়ে ডা’কযোগে পাঠিয়েছে।’ জামিলা জানান, তার স্বামী বিএনপির ক’র্মী হিসেবে অসংখ্যবার হা”মলা, মা”মলা ও কারাবাস করায় মান’সিক দিক দিয়ে সব সময় উ”গ্র মে’জাজের হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তার ও তার সন্তানদের ওপর মা’নুষিক ও শা’রীরিক নির্যা’তন করে আসছে।
তার বি’রুদ্ধে কেশবপুর থানার অ”স্ত্র, বি”স্ফোরক ও না’শকতার চারটি মা’মলা আ’দালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে সোহেল হাসান আইদ বলেন, ‘জা’মিলা নৌকায় ভোট দিয়েছে কি দেয়নি সেটা বিষয় না। সে আমার প্র’তিদ্ব’ন্দ্বী আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আতিয়ার রহমানের উট পাখি মা’র্কার নির্বাচনী প্র’চারণা করেছে।
আমার সামনে অন্যের নির্বাচন করা, স্বামী হিসেবে মর্যাদাহানী ও অপমানকর মনে হওয়ায় তাকে তালাক দিয়েছি। এ ছাড়াও সন্ত্রাসীদের দিয়ে একাধিকবার সে আমাকে মেরে ফেলার ষ’ড়য’ন্ত্র করেছে। যার প্র’মাণ হাতে পাওয়ায় গত ২ মার্চ তা’লাক দেয়ার পর ১৫ মার্চ জামিলাসহ তার সহযোগীদের বি’রুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি। সন্তানরা বড় হওয়ার পরও কেউ কম কষ্টে বউকে তালাক দেয় না, সেটা আপনাদের বুঝতে হবে।’