এলাকাজুড়ে দানব গতিতে দাপিয়ে বেড়াছে কাগজপত্র বিহীন অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি..রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি; অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা দেখার কেউ নেই।
রাসেল মাহমুদ ॥ রূপদিয়া অঞ্চলে যশোর-খুলনা মহাসড়ক ও গ্রাম্যরাস্তার উপর দিয়ে রাত-দিন বিরামহীন ভাবে দানব গতিতে দাপিয়ে বেড়াছে বিভিন্ন ইটের ভাটায় নিযুক্ত প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক্টর ট্রলি। মূলত; কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য আমদানিকৃত কলের লাঙল খ্যাত ওই সব দানবকৃতির বৈধ কাগজ-পত্র ও নাম্বার বিহীন ট্রাক্টর গুলো বিশেষ ভাবে সংযোজন করে এখন ট্রাকের বিপরিতে ব্যবহার করছে এক শ্রেনীর অসাধু চক্র। ক্ষেত চাষ কাজের উপযোগী ট্রাক্টর গুলো ফলা বা লাঙল গুলো খুলে রেখে তার পরিবর্তে বিশেষ ভাবে বানানো মাটিকাঁদা ও ইট বহনের কাজে ব্যবহার যোগ্য ডালা বা বডি সংযোজন করে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দাপিয়ে বেড়াছে দানবকৃতির অবৈধ এসব যানবহণ। বিভিন্ন এলাকার ইট ভাটায় মাটি ও ইট পাটকেল আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করছে এই গাড়ি। অবৈধ পন্থায় তৈরি এসব ট্রলি যোগে মাটি ভরে দ্রুত গতিতে যাওয়া-আসা করায় ছবির মত সুন্দর গ্রাম্য মেঠো পথ ও মহাসড়ক দিয়ে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে বেপরোয়া গতিতে ছুটোছুটি করছে আফিল অটো ব্রিকস, বস, নিউ বস, ডলার, সিটি ব্রিকস সহ সকল ইট ভাটায় চুক্তিতে নিয়োজিত প্রায় শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলি। অনেক ভাটার মালিক আবার নিজেস্ব ভাবে ক্রয় করে ট্রাকের পরিবর্তে স্বাছন্দ বোধ করছে। কারন হিসাবে জানাগেছে দানবকৃতির এই যানবহণ গুলো বছর-বছর ট্রাকের মত রাজস্ব প্রদান করা লাগেনা। যে কারনে অনেক খরচ বেচে যায়। ট্রাকের চাইতে অনেক স্বাশ্রয়ী হওয়া অনেকে অবৈধ ট্রলির ব্যবসায়ে ঝুকছে। জানাযায়- একটি ট্রাকে প্রতিবছর বিআরটিএ কর্তৃক সরকারী কোষাগারে জমা দিতে হয় ফিটনেস, রুট পারমিট, ট্র্যাক্স টোকেন সহ বৈধ কাগজপত্র নবায়ন হিসাবে প্রায়-৩৫ হাজার টাকা। কিš অবৈধ ট্রাক্টর ট্রলিতে ওই সমস্ত কাগজপত্র করতে না হওয়ায় বছরে একেক ট্রলিতে ৩০-৩৫ হাজার টাকা বেঁচে যায়। একাধিক ট্রলি চালকের সাথে কথা বলে জানাযায়, অধিকাংশ ট্রলি গাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে মাসে ৮০ হাজার থেকে-১ লাখ টাকা পর্যন্ত চুক্তিতে আনা হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই গাড়ি গুলোর যেমন সড়ক, মহাসড়কের উপর চলাচলের অনুমতি নেই, তেমনি এই দানব গুলোর নিয়ন্ত্রক বা চালকদের নেই কোন প্রকার লাইসেন্স বা প্রশিক্ষণ। সড়ক, মহাসড়কের উপরে নিয়ম-কানুন না যেনে ও না মেনেই দিনরাত বিরারমহীন ভাবে ছুটোছুটি করছে সড়ক নিরাপত্তায় অনাজ্ঞ দানবগাড়ির এসব চালকেরা। যে কারনে নিত্যদিনই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। আর নম্বার বিহীন এই সব দানব গাড়ি গুলো বিভিন্ন সময় দূর্ঘটনা ঘটালেও পারপেয়ে যাছে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ায় আর সঠিক ভাবে সনাক্ত না করতে পারায়। সচেতন মহলের দাবী আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের সামান্য সু-দৃষ্টিতে রক্ষা পেতে পারে মূল্যবান জানমালের।