পটুয়াখালী প্রতিনিধি।। শিশুটির বয়স ১২ বছর এবং সে একজন বাক প্রতিবন্ধী। শিশুটি গত ১২ এপ্রিল ২১ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ২:০০ টার সময় দোকানে গেলে খাবারের প্রলোভন দিখিয়ে মোঃ জালাল গাজী(৬৫) দোকানের পিছনে নিয়ে যায় এবং সেখানেই তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত পটুয়াখালীর গলাচিপার গজালিয়া ইউনিয়নের ব্রীজ বাজারের চায়ের দোকানদার।
এসময় শিশুটির কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে পার্শবর্তী মোঃ রেজাউল গাজী নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে জালাল গাজী দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি-ধাকমি দিয়ে মামলা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে প্রতিবন্ধী পরিবারটিকে। জানাযায় পরবর্তীতে গত ১৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী পরিবার গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
এরইপরিপেক্ষিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ২০ এপ্রিল ২১ইং তারিখে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানা এলাকায় সরাসরি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় অভিযান পরিচালনাকালে অনুমানিক ১৩.১০ ঘটিাকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার কল্যান কলস এলাকায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণকারী উক্ত স্থানে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী অধিনায়ক সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নের্তৃত্বে আনুমানিক ১৫৪৫ ঘটিকায় উক্ত স্থানে উপস্থিত হলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ঘেরাও পূর্বক উক্ত ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম মোঃ জালাল গাজী(৬৫), পিতা-মৃত মোন্তাজ গাজী, সাং-দক্ষিণ চরচন্দ্রাইল, ০৪নং ওয়ার্ড, থানা-গলাচিপা, জেলা-পটুয়াখালী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ জালাল গাজী(৬৫) ঘটনার সাথে নিজের সং¯িøষ্টতার বিষয়টি র্যাবের কাছে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার মামলা নং-১৫ তারিখঃ ১৮/০৪/২০২১ ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধন ২০০৩ এর ৯(১) মূলে তাকে গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এব্যপারে পটুয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত সহকারী পরিচালক মো রবিউল ইসলাম জানান, এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে ও আমাদের অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।