বিট প্রতিবেদক : যশোর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা ও নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দার ফারুকের ১৪তম হত্যাবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই রাতে দুর্বৃত্তদের বোমা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি নিহত হন। হত্যাকান্ডের ১৩ বছর পার হলেও বিচারের মুখোমুখি হয়নি খুনিরা। বিএনপি নেতা আব্দার ফারুক ঘটনার দিনে শহরতলীর শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় থেকে রিকসাযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে জামরুলতলা বাজারে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে প্রথমে বোমা হামলা ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। সাড়ে তিন বছর পরে তৎকালীন থানার এসআই মোস্তাফিজুর রহমান ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আসামিরা হলো, শেখহাটির আব্দুর রহমান, ইবাদুল ইসলাম, আব্দুল গফফার, শাহাজাহান, কামাল হোসেন ও রহিম বাদশা। চার্জশিটে মামলার মূল অভিযুক্ত আব্বাস নিহত হওয়ায় চার্জশিটে তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
২০১১ সালের ৪ জানুয়ারি মামলার বাদী আদালতে ওই চার্জশিটের ওপর নারাজি আবেদন করেন। আদালত নারাজি আবেদন গ্রহণ করে সিআইডি পুলিশকে পুনঃতদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্ত শেষে সিআইডি একই আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে ফের চার্জশিট দাখিল করে। এ চার্জশিটের ওপর আবারও নারাজি আবেদন করেন বাদী।
মামলার বাদী সাজেদা বেগম চার্জশিটের নারাজি আবেদন করেও শুনানিতে অংশ নেননি। পরে বিচারক চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক একজন আসামির প্রতি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। কিন্তু আসামি এখনো পর্যন্ত আটক হয়নি। মামলাটি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে তা নিহতের পরিবার সূত্র বলতে পারেনি।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিকভাবে কবর জিয়ারত ও স্থানীয় জামে মসজিদে আসরবাদ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।