বিশেষ প্রতিনিধি পরিচিতদের হাতেই খুন হন একাধিক মামলার আসামি কাকন, ৩ জন হেফাজতেযশোর শহরের বারান্দী মোল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকায় নিহত একাধিক মামলার আসামি আব্দুর রহমান কাকন হত্যা মিশনে ছিল এলাকার ৫ জন। তারা এলাকার প্রতিপক্ষের পরিচিতরা।
অনৈতিক ব্যবসা ও আধিপত্য দ্বন্দ্বের জের হিসেবে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়দের সূত্রে তথ্য মিলেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটকে পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও পিবিআই যশোরের পৃথক টিম মাঠে নেমেছে। ঘটনার ব্যাপারে ৩ জনকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা হেফাজতে নিয়েছে বলেও তথ্য মিলেছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্র জানিয়েছে, ১৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০ টায় কবরস্থান এলাকার নরায়ন চন্দ্র ঘোষের চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আব্দুল হামিদের ছেলে বহুল আলোচিত-সমালোচিত কাকন।
ঘটনার ব্যাপারে ছোট ভাই রিফাতুজ্জামান টুটুল জানান, একদল অজ্ঞাত পরিচয়ের সন্ত্রাসী তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জানান পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৮ নভেম্বর বিকেলে তার নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।
এদিকে, স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিহত কাকন নানা দোষে দুষ্ট ছিলেন। এলাকায় নানা অনৈতিক ব্যবসা ও আধিপত্য নিয়ে তারই পরিচিতজনদের সাথে তার বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এলাকার সাদ্দাম ও জিতুর সাথে তার দ্বন্দ্ব বাধে। এরই অংশ হিসেবে ওই দিন রাতে জিতু, সাদ্দাম, শফি, শামীম ও সানি তার উপর হামলা চালিয়ে হত্যাকান্ড ঘটায়। জিতু ও সাদ্দামকে সেল্টার দেয় ফিরোজ নামে ওই এলাকার এক ব্যক্তি। হত্যাকান্ডের পর চক্রটি এলাকার টগর নামে একজনের বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানা পুলিশ, র্যাব, ডিবি ও পিবিআই যশোরের পৃথক টিম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেছে। এছাড়া জড়িতদের শনাক্ত ও আটক করতে অভিযান চলমান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত একজনের মাসহ ৩ জনকে হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া খাজুরা এলাকায় আত্মগোপনে যাওয়া হত্যা মিশনের এক সদস্যকেও আটক করেছে।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও আটকের চেষ্টা চলছে। এখন পর্যন্ত কাকনের পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক টিম কাজ করছে। কে বা কারা ঘটনায় জড়িত বা কেন এই হত্যাকান্ড তা দ্রুতই পরিস্কার হবে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, কাকন একজন বহু বিতর্কিত যুবক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
তথ্যসুত্র: গ্রামের কাগজ।