বিট রিপোর্টার : যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট ‘সরকারের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২১ এর ওপর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রকাশিত মানবাধিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা দেওয়া হয়েছে। আইন-আদালত সরকারের কবজায়। দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত। বিরোধী দল নিধনে তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সরকার জনগণের স্বাধীনতা সংকোচিত করে ফেলেছে। আমরা বলতে চাই, এই রিপোর্টে আওয়ামী সরকারের অপকর্ম প্রকাশ পেয়েছে। গুম, খুন, অপহরণ করে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে কিংবা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে দেশের জনগণের কাছে তাদের অপকর্ম আড়াল করতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশিত বাংলাদেশের মানবাধিকার রিপোর্টে দেখা যায়, কোনো অপকর্মই সরকার আড়াল করতে পারেনি, হাজার হাজার ডলার খরচ করে লবিস্ট নিয়োগ করেও আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের বিভীষিকা আড়াল করা যায়নি।
রিজভী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে, দেশে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের কবর রচনা করতেই নিশিরাতের সরকার দেশের আইন-আদালতকে যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করে মাদার অব ডেমোক্রেসি চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি জনাব তারেক রহমানেরা সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান যিনি রাজনীতির সঙ্গে বিন্দুমাত্র জড়িত নন, তার বিরুদ্ধেও অসত্য ও কাল্পনিক মামলা দায়ের করে সেটি এখনও চালু রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সরকারের প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং তাকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। দেশনেত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার সম্পর্কে গণতান্ত্রিক বিশ্ব বিভ্রান্ত নয়। অর্থাৎ এই সরকার যে দুর্বিনীত দুঃশাসন চালাচ্ছে, সেটিকে যতই ঢেকে রাখার চেষ্টা করুক আজকে সেগুলো উন্মোচিত হচ্ছে বিশ্ববাসীর কাছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে। সেগুলোর কোনোটাই লুকিয়ে রাখতে পারছেন না সরকার।