দুর্জয় ডেস্ক : নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন মুক্তিযুদ্ধের সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিলো কনসার্ট ফর বাংলাদেশ। স্বাধীনতার অর্ধশতক পর সেখানেই অনুষ্ঠিত হলো ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’। জমকালো এ আয়োজনে বিভিন্ন দেশের মানুষসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয় দেশ বিদেশের দর্শকদের সামনে। নিউইয়র্ক সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স। আর বাংলাদেশের চিরকুট।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই আয়োজন করা হয়েছিল ঐতিহাসিক একটি কনসার্টের। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই মহাআয়োজন ইতিহাসের পাতায় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নামেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। জগৎবিখ্যাত ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশঙ্করের অনুরোধে তখন সেই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দ্য বিটলস ব্যান্ডখ্যাত ব্রিটিশ সঙ্গীত তারকা জর্জ হ্যারিসন। সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গাডেনেই এবার আয়োজন করা হলো গোল্ডেন জুবলি কনসার্টের।
গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ কনসার্ট শুরু হয় বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীতে কণ্ঠ মেলান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন।
এরপর স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগযাগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কনসার্ট আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
এরপর মঞ্চে আসে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল চিরকুট। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই দেশের গানটি দিয়ে চিরকুট তাদের পরিবেশনা শুরু করে। এরপর একে একে তারা গেয়ে শোনায় দেশের গান, জাগরণের গান এবং নিজেদের মৌলিক গান। এ সময় চিরকুট ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গাইতে পারাটা আমাদের জন্য বিরাট এক অর্জন।
মিলনায়তন ভর্তি ছিল মানুষের ঢল। তাদেরকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কয়েকটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের হাইটেক পার্ক অথরিটি আয়োজিত সেই কনসার্ট দেখার জন্য একই স্রোতে মিশেছিল নানান দেশের, নানা বর্ণের মানুষ।