দুর্জয় ডেস্ক: যশোর সদর উপজেলার তরফ নওয়াপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই মামলার আসামি হলেন তারি পত্নী রানা, শাশুড়ি জামেলা ও ননদ রুনা খাতুন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ এর বিচারক গোলাম কবির বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রানার সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রানা দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। বাদীর পিতা যশোর সদর উপজেলার ইছালী গ্রামের বাক্কার হোসেন সেসময় একলাখ টাকা যৌতুক দেন। বিয়ের পর বাকি এক লাখ টাকার জন্য রানা নানা ধরনের অত্যাচার করতে থাকেন। এর মাঝে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু তার পরেও অত্যাচার অব্যাহত রাখেন রানা। গত ৫ অক্টোবর রানা তার স্ত্রী মাহফুজাকে মারধর করেন। এসময় শাশুড়ি ও ননদ তার মুখে ভিক্সল ঢেলে দেয়। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মাহফুজা। পরে বাবার বাড়ির স্বজনেরা তাকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করেন।
খুলনা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা শেষে জোর করে ফের মাহফুজাকে রানা তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। সর্বশেষ গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে আসামিরা মাহফুজাকে বাকি এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারধর করে। সেসময় রানা শ্বাসরোধ করে স্ত্রী মাহফুজাকে হত্যা চেষ্টা করেন। ওই সময় মাহফুজা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।