1. admin@channeldurjoy.com : admin : Salahuddin Sagor
  2. news.channeldurjoy@gmail.com : Editor :
পেনশনের টাকা ভাগাভাগির জেরে বাবার লাশ ৪০ ঘন্টা পর দাফন - চ্যানেল দুর্জয়

পেনশনের টাকা ভাগাভাগির জেরে বাবার লাশ ৪০ ঘন্টা পর দাফন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার।। চট্টগ্রাম নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মনির আহমদ (৬৫)। হাসপাতাল থেকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় গ্রামের বাড়িতে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মনির আহমেদের পেনশনের টাকার ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে মরদেহ দাফন করেনি কোনো সন্তানই। পরে জনপ্রতিনিধিরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অবসরের টাকা সমবণ্টনের আশ্বাস দিলে ছেলেরা প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর মৃত মনির আহমদের লাশ দাফন করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মরা যাওয়া মনিরের লাশ দাফন হয়েছে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে মরহুম মনির আহমদের লাশ দাফন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মরহুম মনিরের সন্তানের মধ্যে টাকা পয়সার ভাগাভাগি নিয়ে ঝামেল হলে পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করে লাশ পাহার দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্র ধিক্কার ও নিন্দার ঝড় ওঠে। সামাজিকভাবে বসে জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মনির আহমদের লাশ দাফনের তাগাদা দেন।
মনির আহমদের সংসারে স্ত্রী, ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে আছেন। তিনি পদ্মা অয়েলের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ৫০ লাখ টাকা পেনশন পান। মনির আহমদের ছেলেদের দাবি তিনি পদ্মা ওয়েল কোম্পানি থেকে অবসরে গেলে তার প্রাপ্ত টাকা মেয়েরা ব্যাংক থেকে তুলে নেন। মেয়েদের দাবি, তিনি পিতা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিন বোনের মিলে বাবার চিকিৎসা খরচ বহন করেছে। এক ভাইও কোনো সহযোগিতা করেনি। অবসরের টাকার বিষয়ে মেয়েরা কিছুই জানেন না।

শনিবার মনির আহমদ মারা যাওয়ার পর থেকে অবসরের টাকার বিষয় তুলে তার লাশ দাফনে বাধা দেয় ছেলেরা।
ইউপি সদস্য মো. সাইফুদ্দিন জানান, মনির আহমদের অবসরের টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে ফেলার অভিযোগ এনে ভাইবোনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। এর জেরে বাবার লাশ দাফন করতে দিচ্ছিলেন না ছেলেরা।
বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জানান, অবসরের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মনির আহমদের সন্তানরা লাশ সড়কে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্সে ফেলে রাখে। রোববার রাত পর্যন্ত লাশ সড়কেই পড়ে থাকে। পরে জনপ্রতিনিধিরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বৃদ্ধের লাশ দাফনের পর তার অবসরের টাকা ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমবণ্টনের আশ্বাস দিলে বৃদ্ধের সন্তানরা লাশ দাফনের অনুমতি দেন।

এই বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের দিন-তারিখ

  • বৃহস্পতিবার (রাত ১১:২৮)
  • ২৮শে মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই রমজান ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৪ই চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)

এই মুহুর্তে সরাসরি সংযুক্ত আছেন

Live visitors
119
3175026
Total Visitors

©All rights reserved © 2020 Channel Durjoyচ্যানেল দুর্জয় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লালিত একটি অনলাইন স্বাধীন গণমাধ্যাম, চ্যানেল দুর্জয়ের প্রতিনিধির নিকট থেকে শুধু তার প্রেরিত সংবাদ গ্রহণ করা হয়, সংশ্লিষ্ঠ প্রতিনিধি যদি সমাজ/রাষ্ট্রবিরোধী কোন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তাঁর দ্বায় দুর্জয় কর্তৃপক্ষ বহণ করবেনা
Customized BY NewsTheme